বগুড়ার ধুনট উপজেলায় কৃষকের সহযোগিতার জন্য চালু হয়েছে ফসলের ডিজিটাল ক্লিনিক। উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে এ ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। এখানে সরকারি কর্মদিবসগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদরা কৃষকের ফসলের চিকিৎসা প্রদান করেন। ধুনট উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুস ছোবহান বলেন, ফসলের রোগ-বালাই স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে নতুন নতুন রোগ কৃষককে বিপাকে ফেলে। যার সমাধান কৃষক খুঁজে পান না। আবার দোকান থেকে কীটনাশক কিনে অজ্ঞতার কারণে তারা সঠিক পরিমাপে ব্যবহারও করতে পারেন না। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগ-বালাই থেকে ফসলকে মুক্ত করা সম্ভব হয়না। এ সব ভেবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ফসলের ক্লিনিকের উদ্ভাবন করেন। তার উদ্যোগে ধুনট উপজেলায় এলাকা ভেদে কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ ফসলের ডিজিটাল ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। দিনব্যাপী ক্লিনিকগুলোতে আক্রান্ত ফসলের চিকিৎসা ও চাষাবাদে নানা পরামর্শ দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকগুলোতে কৃষকের অংশ গ্রহণ প্রমাণ করেছে স্থায়ীভাবে ফসলের ক্লিনিক প্রয়োজন। এজন্য নিজ উদ্যোগে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ডিজিটাল ফসল ক্লিনিক স্থাপন করেছেন। যেখানে বিনামূল্যে ফসলের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডিজিটাল ফসলের ক্লিনিকে চাষের ধরণ ও জমির পরিমাণ অনুযায়ী সার ব্যবহার ও ফসল উৎপাদনে প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। ডিজিটাল ফসল ক্লিনিকের নির্ধারিত মোবাইল নাম্বার রয়েছে। যার মাধ্যমে কৃষক মোবাইল ফোনে সমস্যা বলে করণীয় জেনে নিতে পারবেন। পারধুনট গ্রামের কৃষক খোরশেদ আলম বলেন, তার লিচু বাগানের গাছের পাতায় এক ধরণের পরিবর্তন দেখে একটি ডাল নিয়ে ফসলের ক্লিনিকে আসেন। ক্লিনিক থেকে আক্রান্ত লিচু গাছের জন্য ওষুধ ব্যবহারের ব্যবস্থাপত্র দিয়েছে। পৌর এলাকার চরপাড়ার আকিমুদ্দিন ২৫ শতক জমিতে শষা চাষ করেছেন। শশার পাতায় বিচ্ছিন্নভাবে হলুদ রং ধারণ করে গাছ মারা যায়। সমস্যা নিয়ে আসেন কীটনাশক দোকানে। সেখান থেকে জানতে পারেন ফসলের ক্লিনিক সম্পর্কে। এরপর তিনি ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
