শনিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

‘চৈতালি হারিয়ে যাবে না’

মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের চৈতালি। বয়স  মাত্র ৭ বছর। দুটি কিডনিই তার নষ্ট। যে বয়সে চৈতালি তার সমবয়সীদের সঙ্গে বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা, সে বয়সে চৈতালি মৃত্যু পথযাত্রী। গরিব ঘরের সন্তান চৈতালি। বাবা জেলখানায়। মা তাকে নিয়ে ভাড়া করা ভ্যানে চড়ে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ান। চলার ক্ষমতা তার নেই। কয়েক মাস আগে বাড়িতে বোমা পাওয়ার অভিযোগে তার বাবা বরকত আলীকে পুলিশ আটক করে। তিন ভাই বোনের মধ্যে বড় চৈতালি। মেজো জামিলা। বয়স ৩ বছর। ছোট আব্দুল্লাহ। বয়স ১ বছর। গতকাল বিকালে তার বাবা কারাগার থেকে আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। মৃত্যুপথযাত্রী শিশু কন্যাকে এক নজর দেখানোর জন্য কোর্টে নিয়ে আসে চৈতালির মা। শেষ মুহূর্তে বাবা তার অসুস্থ কন্যা চৈতালিকে একনজর দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। চৈতালিও বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে। পাশেই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনও তাকে এক নজর দেখতে আসেন। অর্থাভাবে তার চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানালেন শিশুটির মা শাহিনা। জেলা প্রশাসক এগিয়ে গেলেন।

চৈতালিকে জড়িয়ে ধরলেন। বললেন চৈতালিরা হারিয়ে যাবে না। শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ। এ শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে রাষ্ট্র তথা জেলা প্রশাসন।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর