সাতক্ষীরায় দুই পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় ১৩ বছর কারাভোগের পর অবশেষে নির্দোষ হিসেবে শেখ ওবায়দুর রহমান আবেদ আলীকে (৬৬) খালাস দেন উচ্চ আদালত। ছয় মাসেও খালাসের কাগজ কারাগারে পৌঁছেনি। এর মধ্যে গত রবিবার মারা যান তিনি। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পরও দীর্ঘদিন তাকে কারাগারে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছে আবেদের পরিবার। ২০০৩ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা ইটাগাছা ফাঁড়ির কনস্টেবল ফজলুর রহমান ও মোতালেব টহলরত অবস্থায় সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এ ঘটনার মামলায় পুলিশ ১০ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০০৬ সালে নিম্ন আদালত আসামি আবেদ আলী, রায়হানুল ইসলাম ও জাকির হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় চারজনকে। আসামি পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করলে ২০১১ সালে হাইকোর্ট অবেদ আলীকে খালাস দেন। তখন সরকার পক্ষ লিপ টু আপিল করে। চলতি বছরের ১ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্টের খালাসের রায় বহাল রাখে। কিন্তু গত ছয় মাসে ওই রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছেনি। মেয়ে নিলুফা সুলতানা টুম্পার অভিযোগ, কারাগারে তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে ঠিকমতো চিকিৎসা করানো হয়নি। ছেলে আশিকুর রহমান শাওন প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চেয়ে বলেন, তার মতো আর কোনো সন্তানের নিরপরাধ বাবাকে যেন এভাবে জীবন দিতে না হয়। আবেদের স্ত্রী জানান, বিনাদোষে তার সন্তানরা বাবাহারা হয়েছে। তাদের কে দেখবে।