বুধবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভাঙনকবলিত দাসপাড়ায় পূজার আনন্দ নেই

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

সারা দেশে মহা ধুমধামে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। ঢাকঢোল কাঁশর আর শঙ্খ ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে মন্দিরগুলো। কিন্তু নড়িয়া উপজেলার ভাঙনকবলিত উত্তর কেদারপুর দাসপাড়া গ্রামে নেই পূজার আনন্দ।

গত সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে কেদারপুর দাসপাড়া গ্রামের সত্য নারায়ণের সেবা মন্দির পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। ভয়াবহ ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের ৭৭টি পরিবার। এ সব পরিবারের সদস্যরা সত্য নারায়ণের সেবা মন্দিরে প্রতি বছর ধুমধামে দুর্গা পূজার আয়োজন করতেন। এবার আনন্দ-উৎসব নেই কেদারপুর গ্রামের সহস্রাধিক বাসিন্দার। নড়িয়া উপজেলা সদর থেকে চার কিলোমিটার পূর্বে কেদারপুর ইউনিয়ন। ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কেদারপুর দাসপাড়া গ্রামটি অবস্থিত। ওই গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই শতাধিক পরিবারের বাস। মন্দির নেই, ভাঙনে গৃহহীন পরিবারগুলো আশ্রয় নেই তাই ওই গ্রামের লোকজন এ বছর দুর্গা পূজার আয়োজন করেনি। কেদারপুর ইউপির সাবেক সদস্য কেদারপুর দাসপাড়া গ্রামের সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি কার্তিক ঢালী বলেন, ‘ভাঙনে আমার বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে। এই গ্রামের আরও ৭৬ পরিবার গৃহহীন হয়েছে। এ বছর গ্রামটিতে সুনসান নিরবতা। কারো মনে আনন্দ নেই।’

পূজা উদযাপন পরিষদ শরীয়তপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিহির চক্রবর্তী বলেন, ‘জেলায় ৯২টি মন্দিরে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে মন্দিরগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। কিন্তু ভাঙনে বিপর্যস্ত কেদারপুর গ্রামের মানুষের মনে আনন্দ নেই। আমরাও তাদের জন্য ব্যথিত।’ নড়িয়ার ইউএনও সানজিদা ইয়াছমিন জানান, পদ্মার ভাঙনে বসতবাড়ির পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তের নানাভাবে সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর