পার্বত্যাঞ্চল নিয়ে আলাদা রাষ্ট্র চিন্তাকারীদের স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে অনেক কুচক্রী মহল আছে, যারা শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন চায় না। তারা চায় পার্বত্যাঞ্চলকে দ্বিখণ্ডিত করতে। তাই তারা পাহাড়ে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য খুন, গুম, হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি করে যাচ্ছে। এসব অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সংখ্যা গুটিকয়েক। তাদের প্রতিহত করার জন্য পাহাড়ের সাধারণ জনগণ যথেষ্ট। তাই ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে। বিতাড়িত করতে হবে। তবেই পাহাড়ে চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।’ সোমবার দুপুরে বিলাইছড়ি উপজেলায় পাংখোয়াপাড়া ট্রাইবাল ভিলেজ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিলাইছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও ১২০ তিনকোনিয়া মৌজার হেডম্যান লাল ইং লিয়ানা পাংখোয়ার সভাপতিত্বে এতে রাঙামাটি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ রিয়াদ মেহমুদ, বিলাইছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল শেখ আবদুল্লাহ, উপজেলা চেয়ারম্যান শুভ মঙ্গল চাকমা, ইউএনও আসিফ ইকবাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসএম মতিউর রহমান আরও বলেন, ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তির পর সেনাবাহিনী নতুন করে পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি এবং উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। যে কোনো সম্প্রদায়ের বিপদে সেনাবাহিনী ছুটে যাচ্ছে। রাঙামাটিতে ভূমিধস তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া সেনাবাহিনীর দুজন অফিসারসহ তিন সৈনিকসহ পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগে পাংখোয়া সমাজের সাংস্কৃতিক কর্মীদের নাচ-গানে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে চার পাশ। এ সময় পাংখোয়া সমাজের জন্য নগদ ৬ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করেন এস এম মতিউর রহমান।