কুড়িগ্রাম সীমান্তে আলোচিত কিশোরী ফেলানী হত্যার আট বছর পূর্ণ হলো। কিন্তু দেশ-বিদেশে আলোচিত এ হত্যাকা-ের বিচার ভারতের উচ্চ আদালতে গড়ালেও এখনো ন্যায়বিচার পায়নি তার পরিবার। ন্যায়বিচারের আশায় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে দুটি রিট করেন, যা বর্তমানে বিচারাধীন। এর আগে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে দুই দফায় বেকসুর খালাস দেয় বিএসএফের বিশেষ আদালত। এদিকে ফেলানী হত্যার পর থেকে প্রতিবছরের মতো এবারও নাগেশ্বরী উপজেলার নাখারগঞ্জের নিজ বাড়িতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন তার বাবা নুরুল ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম। ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়েকে বিএসএফ পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। আমার মেয়ে হত্যার ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় আজও বসে আছি।’ ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে খুন হয় কিশোরী ফেলানী। ভারতের ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত ফেলানীর মরদেহ কাঁটাতারেই ঝুলে থাকে দীর্ঘ চার ঘণ্টা। ফেলানীর ঝুলে থাকা লাশের ছবি দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোতে সমালোচনার ঝড় তোলে।