সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
বসতবাড়ির উপর দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন

ঝুঁকিতে অর্ধশতাধিক পরিবার

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

ঝুঁকিতে অর্ধশতাধিক পরিবার

ফরিদপুর শহরে বসতবাড়ির উপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের তার -বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর শঙ্কা নিয়ে বসবাস করছেন ফরিদপুর শহরের অর্ধশতাধিক পরিবার। জাতীয় পাওয়ার গ্রিডের ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের নিচে বসবাসকারী এই পরিবারগুলো যেকোন বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এক বছর আগে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।

জানা যায়, ফরিদপুর শহরের বাইপাস সড়কের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশ দিয়ে চলে গেছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ৩৩ হাজার ভোল্টের সঞ্চালন লাইন। এই লাইনের মাঝ বরাবর ঠিক নিচে বসবাস ব্রাক্ষ্মণকান্দা এলাকার অর্ধশতাধিক পরিবারের। সরেজমিনে দেখা যায়, অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন টিনের ঘরগুলোর কোনো কোনোটির মাত্র আধা হাত উপর দিয়ে টানা হয়েছে। অথচ লাইন নেওয়ার অনেক আগে থেকেই এখানে পরিবারগুলো বসবাস করে আসছে। জানা গেছে, নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে পরিবারগুলো বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনটি সরিয়ে স্থাপনের জন্য বারবার কর্তৃপক্ষকে তখন অনুরোধও করেছিল। বাড়ি-ঘরের উপর দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নেওয়া কোনোভাবেই আইনসিদ্ধ নয়। এটা ওই বাড়ি-ঘরে বসবাসকারীদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ব্রাক্ষ্মণকান্দার বাসিন্দা শেখ বাশার বলেন, ‘আমার বসতঘরের উপর দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইন যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছি। তারের কারণে বাড়ি মেরামতও করতে পারছি না। ঝড় এলে পরিবার পরিজন নিয়ে ভয়ে থাকি।’ অনেকে অভিযোগ করেন, প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও টনক নড়ছে না বিদ্যুৎ বিভাগের। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। ওজোপাডিকো ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিপণন) মুরশীদ আলম জানান, ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইন সরানোর ব্যাপারে ব্রাক্ষ্মণকান্দাবাসীর লিখিত আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি আমলে নিয়ে সুপারিশসহ খুলনায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। খুলনা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম তারিকুল ইসলাম জানান, আবেদন পেয়েছি। ৩৩ হাজার ভোল্টের সঞ্চালন লাইন সরানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। এটা সম্পূর্ণ সদর দফতরের এখতিয়ারে। আবেদনটি সদর দফতরে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে অনুমোদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর