দিনাজপুরের হাকিমপুরে চুম্বকীয় খনিজ পদার্থ এবং চুনা পাথরের সন্ধান পাওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ের জরিপ কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালে হাকিমপুর উপজেলার মুর্শিদপুর গ্রামে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে জরিপ চালায় বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর (জিএসবি)। অপেক্ষাকৃত কম গভীরতায় এখানে খনিজ পদার্থ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করছেন জরিপ কর্মকর্তারা।
হাকিমপুরে চম্বুকিয় খনিজ পদার্থ এবং চুনা পাথরের সন্ধান হাতছানি দিচ্ছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্তের। বাংলাদেশে এই প্রথম এ ধরনের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। খনিটি উত্তোলনযোগ্য কিনা বা কি পরিমাণ খনিজ দ্রব্য এখানে রয়েছে তা এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি। তবে এ খনিজ সম্পদ উত্তোলনযোগ্য হলে তৈরি হবে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত। বিরাট ভূমিকা রাখবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান বদলে যাবেÑএমনটাই আশা এ অঞ্চলের মানুষের। জানা যায়, ২০১৩ সালে দিনাজপুরের হিলি-হাকিমপুর উপজেলার মুশিদপুর গ্রামে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে জরিপ চালায় বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর-জিএসবি। সেখানে এক হাজার ১৯০ ফিট থেকে এক হাজর ১৯৮ ফিট পর্যন্ত গভীরতর স্তরে চুনা পাথর, এক হাজার ৩৬৭ ফিট গভীরতা থেকে কঠিন শিলা ও লোহার আকরিক এবং এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ১০০ ফিট পর্যন্ত স্তরে চম্বুকিয় পদার্থের সন্ধান পাওয়া যায়। বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (খনন প্রকৌশলী) মাসুদ রানা জানান, হাকিমপুরের ইশবপুর গ্রামে দ্বিতীয় পর্যায়ের জরিপ কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর জিএসবি’র ৩০ সদস্যের একটি দল। এ জরিপ আগামী দুই মাস চলবে।
এরপর এখানে কি পরিমাণ খনিজ পদার্থ মজুদ রয়েছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই জানা সম্ভব হবে। এটা উত্তোলনযোগ্য কিনা তখন তাও জানা যাবে।