রবিবার, ২ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভোগান্তির শেষ নেই চালক-যাত্রীর

সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

ভোগান্তির শেষ নেই চালক-যাত্রীর

সুনামগঞ্জ জেলা সদরের একমাত্র কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত। এখানে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চালক-যাত্রীরা। দিন দিন বাস ও যাত্রী বাড়লেও স্বল্প পরিসরে গড়ে ওঠা টার্মিনালটি আধুনিকায়নে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।

ফলে টার্মিনালকেন্দ্রিক বিশ্রামাগার, শৌচাগার, নলকূপের মতো অতি প্রয়োজনীয় সুবিধা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। টার্মিনালের ভিতর স্থান সংকুলান না হওয়ায় ব্যস্ত সড়কে পার্কিং করা হচ্ছে বাস। এতে শহরে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, ঘটছে দুর্ঘটনাও। জানা যায়, যাত্রী ও যানবাহন সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় প্রায় দুই দশক আগে শহরের ভিতর থেকে বাস স্টেশন স্থানান্তর করা হয় মল্লিকপুরে। তখন ছোট পরিসরের একটি টিনশেড টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, দুই দশকেও টার্মিনালের ইট বিছানো দুটি প্রবেশপথ পাকা করা হয়নি। মূল চত্বরে বিছানো ইট অনেক স্থানে ভেঙে গর্ত হয়ে গেছে। একাংশে জমে আছে পানি। শ্রমিক নেতা হাজি লায়েক মিয়া বলেন, ‘টার্মিনালের ভেতর ভাঙাচোরা ও কাদাপানিতে ভর্তি থাকায় প্রায়ই বাসের চাকা দেবে যায়। ভাঙা অংশে পড়ে ভেঙে যায় গাড়ির স্প্রিং।’ বাসচালক কুদরত আলী জানান, ‘টার্মিনালে প্রতিদিন চার শতাধিক বাস আসা-যাওয়া করে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত গাড়ি রাস্তায় পার্কিং করে রাখি। প্রায়ই ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় পার্কিং করা গাড়ি থানায় নিয়ে যায়। জেলার সদরের একমাত্র বাস টার্মিনালটিতে একটি যাত্রীছাউনি থাকলেও সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। প্রবেশমুখে গাড়িতে যাত্রী ওঠানামা করানোয় সিলেট-সুনাগঞ্জ সড়কে লেগে থাকে যানজট। পুরো টার্মিনালে নেই কোনো নলকূপ। যে দুটি শৌচাগার আছে সেগুলোতে সুযোগসুবিধা না থাকায় যাত্রীরা খুব একটা ব্যবহার করেন না। সন্ধ্যার পর অন্ধকারে ডুবে থাকে পুরো টার্মিনাল এলাকা। এ সুযোগে ভেতরে থাকা বাস থেকে রাতে প্রায়ই যন্ত্রাংশ, টাকাপয়সা চুরি যায় বলে অভিযোগ চালকদের। সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট বলেন, ‘বাস টার্মিনালের ইজারা থেকে প্রতিবছর যে টাকা আসে তার থেকে বেশি এটির সংস্কারে ব্যয় হয়। বর্তমানে যে টার্মিনালটি রয়েছে সেটি প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়।

সর্বশেষ খবর