প্রায় দেড় যুগ ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়া চলছে নাটোর জেলা যুবলীগ। দলীয় অঙ্গীকার পূরণে বিভিন্ন সময় কর্মী-সমর্থকরা মাঠে সক্রিয় থেকে হামলা, মামলা, অপহরণ এমনকি হত্যার স্বীকার হয়েছেন। অথচ নিজেদের স্বার্থে আওয়ামী রাজনীতির সবচেয়ে সক্রিয় এ অঙ্গ সংগঠন নিয়ে ভাঙ্গা-গড়ার খেলা খেলেছেন স্থানীয় নেতারা।
দীর্ঘ এ সময় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের পদে ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চলছে জেলা যুবলীগ। অবস্থা আরও করুণ উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির। ফলে নেতৃত্বের বিকাশ ও গণতান্ত্রিক চর্চার অভাবে হতাশা প্রকাশ করছেন দুঃসময়ের অনেক কর্মী-সমর্থক। হাইব্রিডদের দাপটে কোণঠাসা দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতৃত্ব। এ সব নিয়ে কোন্দলে গত সাত বছরে নিহত হয়েছেন আট যুবলীগ নেতা-কর্মী। দলীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে নাটোর যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নাটোর পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক সায়েম হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ‘তিনি সংগঠনের সম্মেলন করার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন। কিন্তু জেলা কমিটির নেতাদের কোনো নির্দেশনা নেই।’ যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, নাটোরের কাউন্সিলারদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা হাতে পাওয়া মাত্র কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হবে।’