আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরুর হাটের জন্য সাড়া ফেলেছে ৬ গরু। নেত্রকোনার ‘শান্তরাজ’, পাবনার ‘বাহাদুর’, ঝিনাইদহের ‘যুবরাজ’, শেরপুরে ‘বাদশা’, মানিকগঞ্জে ‘সিনবাদ’ ও হবিগঞ্জে ‘রেড কিং’। এর মধ্যে শান্তরাজের ওজন ৫০ মণের ওপরে, রেড কিংয়ের ওজন ৪০ মণ, বাহাদুরের ওজন প্রায় ৩০ মণ এবং যুবরাজের ওজন ৪০ মণ।
নেত্রকোনা : সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের টেংগা গ্রামের ক্ষুদ্র খামারি দুলাল মিয়ার খামারে দেখা মেলে বড় গরুর। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে শান্তরাজকে। এরই মধ্যে গরুটির দাম হয়েছে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা। পাবনা : ঈদকে সামনে রেখে সুজানগর উপজেলার প্রফেসরপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন মোল্লার রাজসিক গরু বাহাদুরের নাম-যশ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের উপজেলায়ও। প্রতিদিন বাহাদুরকে দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করছে মানুষ। আনোয়ার এই গরুর দাম হাঁকিয়েছেন ১১ লাখ টাকা। ঝিনাইদহ : সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে প্রায় ৪০ মণ ওজনের গরুটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছেন। মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় শাহজাহান মিয়া গরুটির মালিক। তিনি বলেন, তার খামারে ৭টি গরু আছে। প্রতিটি গরুরই আলাদা আলাদা নাম আছে। এর মধ্যে যুবরাজ নামে ষাঁড়টির দাম হেঁকেছেন ২১ লাখ টাকা। শেরপুর : শ্রীবরদীতে লাল-কালো রঙের গরুর নাম রাখা হয়েছে ‘বাদশা’। গরুটির মালিক উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের দুলাল মিয়া ওরফে দোলন এর দাম হাঁকাচ্ছেন ১২ লাখ টাকা। মানিকগঞ্জ : সাটুরিয়া উপজেলার ‘সিনবাদ’ দেশের সর্ববৃহৎ গরু দাবী করছেন গরুর মালিক বিল্লাল। তিনি বলেন, প্রতিদিন দশ কেজি গমের ভুসি, দুই কেজি মালটা, ৩/৪ ডজন কলা, ১ কেজি গুড়, ভুট্টা ভাঙ্গা, ছোলা ভাঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, লেবু, ধানের খড় এবং কাঁচা ঘাস খায়ানো হচ্ছে। হবিগঞ্জ : বানিয়াচঙ্গের শেখের মহল্লা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট গোলাম ওয়াহিদ ‘রেড কিং’ নামে বিশাল আকৃতির ষাড় লালন-পালন করেছেন।