মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পর্যটনে সৃষ্টি হবে নতুন দিগন্ত

কুমিল্লায় হচ্ছে নয়টি জাদুঘর

কুমিল্লা প্রতিনিধি

পর্যটনে সৃষ্টি হবে নতুন দিগন্ত

জাদুঘর হচ্ছে শচীন দেব বর্মণের এই বাড়ি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কুমিল্লায় নয়টি জাদুঘর স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। জাদুঘরগুলো চালু হলে কুমিল্লার পর্যটন শিল্পে নতুন দিগন্তের সৃষ্টি হবে। জাদুঘরগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি স্মৃতি জাদুঘর। বাকি ছয়টি উন্মুক্ত জাদুঘর। স্মৃতি জাদুঘরগুলোতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্মৃতিস্মারক স্থান পাবে। সবকটিতে টিকিটের ব্যবস্থা করে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে নয়টি জাদুঘর স্থাপন নিয়ে কুমিল্লা কার্যালয় থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরে আবেদন জানানো হয়েছে। জাদুঘরগুলো হচ্ছে- লাকসামের নওয়াব ফয়জুন্নেছা জমিদার বাড়ি, কুমিল্লা নগরীর শচীন দেব বর্মণের বাড়ি, নগরীর ধর্মসাগরের উত্তর পাড়ে রানী কুঠি। এই তিনটি স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে নির্মিত হবে। বাকিগুলো হচ্ছে- কুমিল্লা কোটবাড়ির রুপবান মুড়া বিহার, ইটাখোলা বিহার, লতিকোট বিহার, বুড়িচং সাহেব বাজারের নিকট রানী ময়নামতির প্রাসাদ, সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের সতের রত্ন মন্দির ও কুমিল্লার লালমাইর চন্ডীমুড়া মন্দির।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর কুমিল্লা কার্যালয়ের সূত্রমতে, কোটবাড়ি এলাকায় শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর এবং বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্রে বছরে ৪০ লাখের মতো দর্শনার্থী আসে। জেলায় আরও ৯টি জাদুঘর হলে এখানে ৮০ লাখের বেশি দর্শনার্থী আসবে। বাড়বে রাজস্ব আয়। সাংস্কৃতিক ও পর্যটন সংগঠন ঐতিহ্য কুমিল্লার পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল বলেন, ‘কুমিল্লা অঞ্চল প্রত্নসম্পদে ভরপুর। কুমিল্লায় ৯টি জাদুঘর নির্মাণ হলে এ অঞ্চলে পর্যটনের ব্যাপক বিকাশ ঘটবে। হোটেল-মোটেল এবং রেস্তোরাঁ ব্যবসার আরও প্রসার ঘটবে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কুমিল্লার কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা ৯টি জাদুঘর স্থাপন নিয়ে কুমিল্লা কার্যালয় থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরে আবেদন জানিয়েছি। তার মধ্যে লাকসামের নওয়াব ফয়জুন্নেছা জমিদারবাড়ির কাজ চলছে। শচীন দেব বর্মণের বাড়ির কাজও অনেকাংশ হয়েছে। রুপবান মুড়া বিহার ও ইটাখোলা বিহারের টিকিট কাউন্টারের কাজ চলছে।

 

 

সর্বশেষ খবর