মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
২৫০ শয্যার হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল

৫৬ ডাক্তারের স্থলে কর্মরত ৬

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

৫৬ ডাক্তারের স্থলে কর্মরত ৬

সদর হাসপাতালের নবনির্মিত ভবন

ডাক্তার-নার্স, বেড আর ওষুধ সংকটে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালটি এখন নিজেই রোগী। হাসপাতালে কাগজে-কলমে ২১ জন ডাক্তার থাকলেও চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন মাত্র ছয়জন। বাকি ১৫ জন প্রেষণে অন্যত্র দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে জেলার ২২ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে।

২০১৪ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবিগঞ্জ সফরে এসে হাসপাতালটি ১০০ থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে বরাদ্ধ দেন অত্যাধুনিক আটতলা ভবনের। দুই বছর কাজ শেষে নতুন ৮তলা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হলেও সেটি অনেকটা পরিত্যক্ত ভবনে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালটি এখনো চলছে ১০০ শয্যার জনবলের কাঠামোয়। সৃষ্টি হয়নি নতুন পদ-পদবী। নিয়মানুযায়ী ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নূন্যতম ৫৬ জন চিকিৎসক থাকার কথা। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালটিতে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৩৮টি। যার অধিকাংশ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। হবিগঞ্জ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা (ইএমও) ডা. দেবাশীষ দাশ বলেন, ‘প্রতিদিন হাসপাতালে গড়ে ৪০০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। চিকিৎসা নেন আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জন। জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টা একজন ডাক্তার থাকা প্রয়োজন। এই বিভাগে অন্যান্য পদের ডাক্তার এনে সেবা দিতে হয়। জরুরী বিভাগের ডাক্তারদেরই সার্জারি করতে হয়, আবার ওয়ার্ডেও ডিউটি করতে হয়। বিরতিহীন কাজ করতে হয় আমাদের।’ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার রথীন্দ্র চন্দ্র দেব বলেন, ‘একটি হাসপাতালের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ মেডিসিন, গাইনি, সার্জারি ও শিশু। এই হাসপাতালে এ সব পদে কোনো ডাক্তার নেই। জরুরি প্রসূতি সেবা পর্যন্ত বাইরে থেকে ডাক্তার এনে দিতে হয়। কর্মরত ডাক্তাররা সেবা দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ডাক্তার সংকটের বিষয়টি জানিয়ে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লেখা হয়েছে। সম্প্রতি আবারও চিঠি পাঠানো হয়েছে। অনুমোদিত ৪০টি পদের মধ্যে ১৯টিই খালি। হাসপাতালে কর্মরত ২১ জনের মধ্যে ১৫ জন প্রেষণে অন্যত্র কাজ করছেন। এ অবস্থায় সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর