চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজিকান্দি আল-আমিন এতিমখানার পরিত্যক্ত ভবনের ছাদ ধসে অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রায় ৪৪ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১২ জন। গুরুতর আহত একজন শিশু  শিক্ষার্থীকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও দুই উপজেলারনির্বাহী কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টার দিকে পরিত্যক্ত ৪ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে শিক্ষককের সঙ্গে শতাধিক শিক্ষার্থী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের বিষয়ে একত্রিত হলে দুর্ঘটনার শিকার হয়। একত্রিত হওয়া শিক্ষার্থীরাসহ ছাদের মাঝখানের অংশ ধসে নিচে পড়ে যায়। এ সময় প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা হল- সিহাব (১৪), আইনুদ্দিন (১৩), নাহিদ (১৩), সাব্বির (১৩), ইব্রাহীম (১৩), তরিকুল ইসলাম (১৩), আবদুল আজিজ (১৩), সজীব (১৫), আবদুল্লাহ (১৪), রহমান (১৫), নাহিদ (১৪) ও সিনিয়র সহকারী মৌলভী মোহাম্মদ হোসেন (৫০)। শনিবার রাত ২টায় মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকা মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আহম্মদ উল্যাহ বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল ২৫ জন। এর মধ্যে ৯ জন ছাড়া বাকিদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ও তিনজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছে। ফরাজিকান্দি কমপ্লেক্সের মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, শনিবার সব ছাত্রের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা শেষ হয়। পর দিন ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে প্রস্তুতির জন্য ছুটি দেওয়া হয়নি। প্রস্তুতির জন্য সবাইকে ডেকে আনা হয়। একত্রিত হলেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শিক্ষার্থীরা। ফরাজিকান্দি আলিয়া মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মাসুদ জানায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে এতিমখানা থেকে একটি টিম জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে, একটি টিম জেলা স্টেডিয়ামে এবং একটি টিম মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করতে পাঠানো হবে। সে কারণে টিম লিডার শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন টিমের তালিকা তৈরি করছিলেন। এ সময় দ্বিতীয় তলার ছাদ ধসে পড়ে।