সাংবাদিককে মারধর ও ক্যামেরা ভাঙচুরের ঘটনায় বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপকসহ (ডিজিএম) সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে মামলা হয়েছে। বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গতকাল মামলাটি করেন স্থানীয় সংবাদকর্মী আতিক রহমান। বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে ১৫ দিনের মধ্য তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বগুড়ার মোকামতলা আঞ্চলিক কর্মকর্তা অভিযুক্ত রেজ্জাকুর রহমান বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলা করার ঘটনা সঠিক নয়। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। বাদী উল্লেখ করেন, মোকামতলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নানা অনিয়ম নিয়ে গত ২৬ অক্টোবর মোহনা টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। রিপোর্টের দ্বিতীয় পর্বের জন্য গত ২ ডিসেম্বর মোহনা টিভির সাংবাদিক, ক্যামেরাপারসনসহ কয়েকজন পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসে যান। সাংবাদিক দেখে ডিজিএম রেজ্জাকুর রহমান তাদের গালাগাল করতে থাকেন। একপর্যায় এজিএম গোলাম রব্বানীসহ অফিসের কর্মচারী ও বহিরাগত কিছু দালাল সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় মোহনা টিভির ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়।