সুনামগঞ্জ-৩ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট চলাকালীন একটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের কথিত অভিযোগের মামলায় ঘটনার সময় জেলহাজতে থাকা বিরোধী দলের দুই নেতার নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ! হয়রানির উদ্দেশ্যে করা এই গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন হয়রানির শিকার বিএনপি ও জমিয়তের এই দুই নেতা। কথিত অভিযুক্তরা হলেন- দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদাল মিয়া ও জমিয়ত নেতা ছালিক মিয়া। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও মালামাল ক্রোকের আদেশ হলে সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন তারা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার কাড়ারাই মাদ্রাসা কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা করেন ওই কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার কৃষি ব্যাংক ডুংরিয়া শাখার ব্যবস্থাপক শাহরিয়ার মাহমুদ। ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক জয়নাল আবেদীন। অভিযোগপত্রের ৯ নম্বর ক্রমিকে আবদাল মিয়া ও ১০ নম্বর ক্রমিকে ছালিক মিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫-২০ জন বিএনপি-জমিয়ত নেতার বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় ২৭ ডিসেম্বর আবদাল ও ২৮ ডিসেম্বর ছালিক গ্রেফতার হন। নির্বাচনের এক মাস পর ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি আবদাল ও ১০ ফেব্রুয়ারি ছালিক আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন কথিত ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনার সময় বিরোধী দলের ওই দুই নেতা জেলহাজতে থাকার পরও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ে তাদের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক জয়নাল আবেদীন এ ব্যাপারে বলেন, ‘সোর্স কর্তৃক ভুল তথ্য প্রদানের কারণে অভিযোগপত্রে এ দুজনের নাম এসেছে। এটি সংশোধন করে আমরা সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করব।’