মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর সিংজুরী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। দুপুর ১২টার আগে ডাক্তার থেকে পিয়ন পর্যন্ত কেউ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন না। দীর্ঘদিন ধরে এখানে ঠিকমতো থাকেন না কোনো ডাক্তার। মাঝেমধ্যে দুপুর ১২টার পর আসেন আবার কিছুক্ষণ পরেই চলে যান। ভবনটির জরাজীর্ণ অবস্থা। ভবন ঘিরে বাসা বেঁধেছে মৌমাছি। গত বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, বেলা ১১টায়ও ভবনে তালা ঝুলছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিয়ন রান্টু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তিনি সংসারের কাজ করছেন। অফিসে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘বসরা যেভাবে চালায় আমি সেভাবে চলি। তারা দেরি করে আসেন, আমিও দেরি করে যাই।’ সাংবাদিকের কথা জানতে পেরে সাড়ে ১১টার দিকে উপস্থিত হন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রুহিদাস তরফদার ও ফার্মাসিস্ট স্বপন কুমার। দেরিতে আসার বিষয়ে রুহিদাস বলেন, শরীর খাপার তাই দেরি হয়। প্রতিদিন দেরির বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। ফার্মাসিস্ট স্বপন কুমার বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে মেডিকেল অফিসার নেই। এখানকার রোগীরা দেরিতে আসে তাই একটু দেরিতে আসি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডাক্তারসহ সব কর্মকর্তাই কাজে ফাঁকি দিচ্ছেন। ফলে স্থানীয়রা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সোমেন চৌধুরী বলেন, সেখানে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। অন্যদের অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, অনুপস্থিত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।