চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে পিয়নের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা চাকরি এবং টাকা ফেরত না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অভিযুক্ত মনিরুল বলেন- ‘প্রতারণা করে কোনো টাকা নেইনি। ডকুমেন্ট থাকলে প্রমাণ দিয়ে টাকা নিতে বলুন।’ ভুক্তভোগীরা জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মনিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ঢাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পিয়ন পদে চাকরি করেন। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দক্ষিণ বত্রিশহাজীর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে সুজন মিয়ার অভিযোগ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মনিরুল তার কাছ থেকে নিয়েছেন ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। সুজন চাকরি ও টাকা ফেরত না পেয়ে উবারের মোটরসাইকেল চালিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। কুষ্টিয়ার তৌহিদের অভিযোগ, মনিরুল তার কাছ থেকে নিয়েছেন সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দোগাছি গ্রামের মতিউর রহমান জানান, তাকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে নেওয়া হয়েছে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা বদলির জন্য মনিরুলকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। আজও তার বদলি হয়নি।