ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা ভারতীয় মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ের কোল ঘেঁষে। উপজেলাটিতে গারো, হাজং প্রভৃতি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস উল্লেখযোগ্য। ২৫১ বর্গকিলোমিটারের এই উপজেলায় জনসংখ্যা চার লাখের বেশি। দুর্গম এ এলাকা স্বাস্থ্য খাতে যুগের পর যুগ উপেক্ষিত। জানা যায়, সাত ইউনিয়নে ৪৪ হাজার ৭টি পরিবারের জন্য রয়েছে একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় দিনের পর দিন ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। শয্যা সংখ্যা বাড়লেও লোকবল বাড়েনি। এমনকি ৩১ শয্যার লোকবলও নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক জানান, নতুন ভবনে চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র, অটোক্লেভ, ইসিজি, মলমূত্র, রক্ত পরীক্ষার যন্ত্রসহ বিভিন্ন চিকিৎসাযন্ত্রও বরাদ্দ হয়নি। শুধু ৫০ শয্যার বিছানা ও ওষুধপত্র বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন ওই হাসপাতালে রোগী ভর্তি থাকে গড়ে ৪৫ জন। বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নেন গড়ে দুই থেকে আড়াইশ রোগী। শয্যার অভাবে অতিরিক্ত ভর্তি হওয়া রোগীদের ঠাঁই হয় ওয়ার্ডের মেঝেতে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র না থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ১১ জন মেডিকেল অফিসারের পদায়ন রয়েছে। ডাক্তারদের অনুপস্থিতি ও দীর্ঘদিন ধরে একমাত্র এক্সরে মেশিনটি বিকল থাকায় কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হাসান শাহিন জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে স্টোরকিপার, প্যাথলজি সহকারী ও আয়া পদে একজন করে, ফার্মাসিস্ট এবং ওয়ার্ড বয় দুজন করে এবং পরিছন্নতাকর্মী পদে পাঁচ ও অফিস সহকারী পদে তিন পদসহ অনেক পদ শূন্য। তিনি বলেন, মূলত লোকবলের অভাবে ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না। দ্রুত সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান ডা. হাসান শাহিন।