বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

পাহাড়ে লাগেনি উৎসবের রং

রাঙামাটি প্রতিনিধি

পাহাড়ে লাগেনি উৎসবের রং

পাহাড়ে এবার দেখা যাবে না এমন বর্ণিল আয়োজন (ফাইল ছবি)

এবার বৈসাবিতে উৎসবের রং লাগেনি পাহাড়ে। করোনা আতঙ্কে স্তব্ধ পুরো পার্বত্য অঞ্চল। উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেনি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা। নেই নূপুরের ছন্দ। নেই গানের সুর। অথচ গত বছরও এ সময় উৎসবের নগরী ছিল পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান। এ বছর এখানে একেবারেই ভিন্ন চিত্র। জানা যায়, পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা নানা আয়োজনে পালন করে বর্ষবরণ উৎসব। এর মধ্যে ত্রিপুরারা বৈসু, মারমারা সাংগ্রাই ও চাকমারা বিজু নামে পালন করে এ উৎসব। তাদের বৈসু-সাংগ্রাই-বিজু এই তিন নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে উৎপত্তি ‘বৈসাবি’ নামের। বৈসাবি উৎসবের মধ্য দিয়ে পুরনো বছরের কালিমা আর জীর্ণতা ধুয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা। বছরের শেষ দুই দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন বৈসাবি পালিত হয় পার্বত্য জেলায়। এবার করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ বৈসাবির সব আয়োজন। পাহাড়ে বসবে না ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মেলা। সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত করতে ও করোনা সংক্রমণ রোধে মানুষকে ঘরে রাখার জন্য এ সিদ্ধান্ত বলে জানান রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমেদ। তিনি বলেন, মানুষকে নিরাপদ রাখতে পাহাড়ের সব উৎসব বাতিল করা হয়েছে। মানুষ বেঁচে থাকলে উৎসব অনেক হবে। পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে বসবাসরত ১০ ভাষাভাষির ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বৈসাবি পালন করে থাকে। আয়োজন করা হয় নাচ, গান ও মেলার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর