বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ৪৫ কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা

নাঙ্গলকোট

ফারুক আল শারাহ, লাকসাম

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ৪৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। করোনা সুরক্ষায় সরকারিভাবে এখনো প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহ না করায় গ্রামীণ জনপদের স্বাস্থ্যকর্মীদের দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে। সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে হাতের নাগালে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নাঙ্গলকোটে ৪৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপিত হয়। গ্রামীণ জনপদের পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ সুবিধাজনক সময়ে এসব ক্লিনিক থেকে খুব সহজেই বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেয়ে থাকেন। ঝড়, বৃষ্টিসহ যে কোনো দুর্যোগেও এসব ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীদের আন্তরিকতাপূর্ণ মানবিক সেবা দেওয়ার নজির রয়েছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অবাধ চলাচলে বাধা নিষেধ, পরিবহন সংকট, শহরের প্রাইভেট ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চেম্বার বন্ধ থাকায় নাঙ্গলকোটের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের শেষ ভরসা স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক। দেশে করোনা পরিস্থিতির যতই অবনতি হচ্ছে ততই এসব ক্লিনিকে সেবা প্রত্যাশীদের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা সুরক্ষায় সরকারিভাবে পিপিই, মাস্ক হ্যান্ডগ্লাভস, হ্যান্ডস্যানিটাইজার, জীবাণুুনাশক স্প্রে সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি সরবরাহ না করায় তারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে চাকুরিরত স্বাস্থ্যকর্র্মী ও তাদের পরিবারে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। দ্রুত এসব সংক্রমণ বিরোধী সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য তারা সরকারের সুদৃষ্টি চেয়েছেন। উপজেলার চাটিতলা কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, আমার দায়িত্বাধীন ক্লিনিকে চলমান করোনা পরিস্থতিতে দৈনিক গড়ে অর্ধশতাধিক রোগী চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ মানবিক সেবা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু এ মুহূর্তে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথাসহ ঠা-াজনিত রোগীই বেশি আসে। এগুলো করোনা রোগের উপসর্গ হওয়ায় চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে আতঙ্কে থাকি। তারপরও মানবিক কারণে আমরা সৌহার্দ্যরে ভিত্তিতে রোগীদের নিষ্ঠার সঙ্গে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। উপজেলা সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন বলেন, উপজেলার ৪৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা চরম ঝুঁঁকির মধ্যে কাজ করছেন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা জরুরি। এজন্য সরকার দ্রুত সুরক্ষা সরঞ্জাম বরাদ্দ দেবেন বলে আমরা আশাবাদী। নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবদাস দেব বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক সমূহে সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদানের চিঠি পেয়েছি। সরঞ্জামাদি হাতে পেলেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর