জাটকা ধরায় মেঘনা নদীতে চলছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। আর এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রায়পুরের বিভিন্ন মাছ ঘাটে দেখা গেছে জাটকা বিক্রির ধুম। দেদার জাটকা নিধন ও বিক্রি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সচেতন মহল। রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী খাসেরহাট বাজারে গতকাল সকালের চিত্র ছিল জমে ওঠা মেলার মতো। একজনের গায়ের সঙ্গে অন্যজন গা লেগে আছে। মনে হচ্ছে যেন, প্রশাসনের অনুমতি পেয়ে জাটকার মেলা বসেছে। জাটকা শিকারে নিষেধাজ্ঞা আর করোনা ক্রান্তিকালে সঙ্গরোধে থাকতে বলা হলেও ইউনিয়ন পরিষদ, প্রশাসন এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। মেঘনা উপকূলীয় এলাকার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসন জাটকা সংরক্ষণের দায়িত্ব পালনের কথা ছিল। কিন্তু এখানের চিত্র ভিন্ন। অনেকটা হাঁক-ডাক দিয়েই প্রকাশ্যে বেঁচাকেনা হচ্ছে জাটকা, চলছে নিধনও।
উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। জেলেরা ভোরে মাছ বিক্রি করে পালিয়েছে। ইউপি মেম্বার ও গ্রাম পুলিশদের নিয়ে সতর্ক থাকার জন্য বৈঠক করব। রায়পুর উপজেলা কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. আব্দুর রহমান বলেন, জাটকা রক্ষায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ তৎপর রয়েছে। কার নৌকা কখন নদীতে মাছ শিকার করতে যায় সেটা আমি জানি না। অভিযান চালিয়ে যাকেই নদীতে দেখতে পাব তাকেই আটক করা হবে। বাজারে জাটকা বিক্রি ও করোনার প্রাদুর্ভাব কমাতে সঙ্গরোধ নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে কোস্টগার্ড ছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের কাজ করার কথা রয়েছে।