বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

বগুড়ায় ত্রাণ নিয়ে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় ত্রাণ নিয়ে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ

বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবুর রহমান তার চারজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলেন। ১৩ এপ্রিল রাতে চারজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগে বলা হয় বগুড়া পৌরসভার ওই চার কাউন্সিলর মেয়রের বাসভবনের নিচতলার দারোয়ানকে মারপিট করে বেশ কিছু ত্রাণের সামগ্রী নিয়ে যায়। অপর দিকে পৌরসভার ২১ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর অভিযোগ করেছেন ত্রাণ সামগ্রী ঠিকভাবে বণ্টন না করে বিএনপির মেয়র তার দলীয় কাজের জন্য রেখে দেন। পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবুর রহমান জানান, চলমান করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীনদের জন্য জেলা প্রশাসকের বরাদ্দকৃত চাল ও নগদ অর্থে কেনা আলু পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ দেওয়ার পর তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে আরও কিছু বিশেষ বরাদ্দ নেন। এই বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে তার ও মহিলা কাউন্সিলরদের কাছে আসা কর্মহীনদের মাঝে বিতরণ করার জন্য রেখে দেওয়া হয়। এ খবর পাওয়ার পর থেকে পৌরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর গত ১৩ এপ্রিল থেকে তাকে খোঁজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ওদিন বিকালে তার জলেশ^রীতলাস্থ বাসায় গিয়ে চারজন কাউন্সিলর দারোয়ানকে মারপিট করে বেশ কিছু ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যায়। এসব খবর পেয়ে থানা পুলিশ তার বাসায় গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ অবস্থায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন। পরে তিনি পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আরিফুর রহমান আরিফ, শহর আওয়ামী লীগ নেতা ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপুসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ থানায় দেন। সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান, মেয়র ফোনে জানিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে মামলা রেকর্ড হবে কি না বলা যাবে। বগুড়া পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আরিফুর রহমান আরিফ জানান, ওই ত্রাণগুলো তিনি বিতরণ না করে নিজের বাড়িতে রেখেছিলেন। মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়েছে। মেয়র বিএনপির রাজনীতি করেন বলে কাউন্সিলরদের মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। বগুড়া পৌরসভার ২১ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর স্বাক্ষর করে একটি অভিযোগ জেলা প্রশাসককে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে কাউন্সিলরদের ত্রাণ সামগ্রী ঠিকভাবে বণ্টন না করে বিএনপির মেয়র তার দলীয় কাজের জন্য রেখে দেন। যা কোনোভাবেই মেনে নেয়নি কাউন্সিলররা।

সর্বশেষ খবর