রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

বিপর্যস্ত দুগ্ধ পোল্ট্রি খামার

আব্দুর রহমান টুলু, বগুড়া

বিপর্যস্ত দুগ্ধ পোল্ট্রি খামার

বগুড়ার শেরপুরে একটি পোল্ট্রি খামার। সেখানে নেই কারও কর্মতৎপরতা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মহামারী করোনার প্রভাবে বগুড়ার শেরপুরে দুগ্ধ ও পোল্ট্রি খাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। অঘোষিত লকডাউনের কারণে এ উপজেলার খামারিরা উৎপাদিত মুরগি-ডিম এবং দুধ বিক্রি করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন। অব্যাহত লোকসানের মুখে একের পর এক খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই শিল্পে জড়িত বহু মানুষ বেকার হয়ে পড়ছেন। শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ছোট-বড় মিলে দেশি মুরগির বাণিজ্যিক খামার ১ হাজার ২০০, বয়লার মুরগির ১ হাজার ৫০০, সোনালি মুরগির ২ হাজার, হাঁসের প্রায় ২০০, টার্কি মুরগির ১০০, কোয়েল পাখির ১৫০ এবং কবুতরের ১০০টি খামার রয়েছে। আর ডেইরি খামার ৩ হাজার, গাভী মোটাতাজকরণ খামার ২ হাজার, ছাগলের ১০০ এবং ভেড়ার খামার রয়েছে ৮০টি। এছাড়া বাণিজ্যিকভিত্তিতে গড়ে ওঠা পোষা পাখির খামার রয়েছে প্রায় ১০০। সব মিলিয়ে শেরপুরে খামার আছে ১০ হাজার ৫৩০টি। এসব খামারের সঙ্গে ৫০-৬০ হাজার মানুষ জড়িত। মাসখানেক আগেও এসব খামার থেকে বেশ আয় হতো। বর্তমানে করোনা পরিস্থির কারণে এসব খামারে আর্থিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। দুঃসময় পার করছেন খামারিরা। তাদের উৎপাদিত মুরগি-ডিম এবং দুধ বিক্রি করতে পারছেন না, এতে বিপাকে পড়েছেন। উপজেলার সাধুবাড়ী গ্রামের ক্ষুদ্র খামারি রুবেল আহমেদ জানান, তিনটি গাভী প্রতিদিন প্রায় ৩০ লিটার দুধ দেয়। কিন্তু বাজারে দুধের ক্রেতা নেই। করোনার কারণে বেশির ভাগ দোকান বন্ধ। এ অবস্থায় আগের দামের চেয়ে অনেক কম দামে বাসা-বাড়িতে গিয়ে দুধ বিক্রি করছি। এতে দিনে গড়ে লোকসান হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা। এদিকে কয়েকদিন আগেও যে মুরগির বাচ্চা বিক্রি হয়েছে ৩০-৩৫ টাকায়। সেই দাম কমতে কমতে কমতে ঠেকেছে বাচ্চাপ্রতি এক টাকায়। নতুন খামারে মুরগির বাচ্চা নিচ্ছে না। পোল্ট্রি খামারিদের এখন মাথায় হাত। মুরগির খামারি আল ইমরান বলেন, লোকসান দিয়ে ১ হাজার ডিম পাড়া মুরগি বিক্রি করিনি। শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. রায়হান জানান, করোনায় খামারিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

এই সেক্টরের পণ্য পরিবহন ও বিপণনে বাধা নেই। এরপরও নানা অজুহাতে দুধ, ডিম, মুরগির দাম কমছে।

সর্বশেষ খবর