শুক্রবার, ১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

দুই মাস পর ইলিশ শিকারে নেমেছেন জেলেরা

চাঁদপুর প্রতিনিধি

দুই মাস পর ইলিশ শিকারে নেমেছেন জেলেরা

নদীতে নামার আগে জেলেদের প্রস্তুতি

জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা গতকাল দিবাগত রাত ১২টার পর ওঠে যাওয়ার পর ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণে নদীতে নামেছেন জেলেরা। ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুরের মতলবের ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত মেঘনা নদী এলাকায় ইলিশসহ সব প্রকার মাছ আহরণ, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। দুই মাস অলস সময় কাটানোর পর রুপালি ইলিশ আহরণের বুকভরা আসা নিয়ে পদ্মা-মেঘনায় নেমেছে জেলেরা। কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা জাল ও নৌকা প্রস্তুত করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। দুই মাস অভয়াশ্রম চলাকালে চাঁদপুরের ৫১ হাজার ১৯০ জন নিবন্ধিত জেলেকে ফেব্রুয়ারি থেকে চার মাস ৪০ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা হিসেবে দেওয়া হচ্ছে। দুই মাসের জাটকা সংরক্ষণ অভিযান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে অধিকাংশই নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা থেকে বিরত ছিলেন। তবে একশেণির অসাধু ও মৌসুমি জেলে অভয়াশ্রম এলাকায় প্রচুর পরিমাণ জাটকা নিধন করেছে।

 বিশাল নদী এলাকার তুলনায় জেলা টাস্কফোর্স সদস্য কম হওয়ায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েও জাটকা নিধন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, করোনার মধ্যেও জেলা টাস্কফোর্স জাটকা রক্ষায় ৮৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। এ সময়ে ৭৫ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ২৯৪ দশমিক ৩৩ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে ১৬ দশমকি ০৮ মেট্রিকটন জাটকা জব্দ করে দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর