মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষায় লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ দুস্থ অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ নিয়ে জিরো টলারেন্সে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন। ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থেকে কোথাও কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ত্রাণ বিতরণে ওজনে কম অথবা অন্য যে কোনো অনিয়মের অভিযোগে ডিলারদের লাইসেন্স বাতিলসহ ব্যবস্থা নিচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ কার্যক্রমের সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান।
জেলা প্রশাসন গঠিত কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা গেছে, জেলায় সরকারি সহায়তার অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৬১ হাজার পরিবারকে ১ হাজার ৬১০ মেট্রিক টন খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৩৫ হাজার পরিবারকে ৪৪০ মেট্রিক টন চাল বিশেষ ওএমএস কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। ২৭ লাখ টাকা পরিমাণ শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে ১০ হাজার ৬১ পরিবারের মাঝে। জেলায় ৬৫টি কওমি মাদ্রাসার এতিম ও দুস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নগদ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব, পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ত্রাণ কার্যক্রমে কোনো প্রকার অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত দুর্যোগকালীন কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে যে বা যারাই চেষ্টা করবে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. হেমায়েত উদ্দিন বলেন, ‘পটুয়াখালীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব মহোদয় ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নেতৃত্বে চার স্তরবিশিষ্ট কমিটির মনিটরিংয়ের মাধ্যমেই জেলার সব উপজেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কোথাও কোনো অনিয়মের অভিযোগ এলে তৎক্ষণাৎ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’