শনিবার, ১৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

সামান্য বৃষ্টিতেই চলার অযোগ্য রাস্তা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মাণকালেই ভেঙে যাচ্ছে সড়ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সাভার প্রতিনিধি

সামান্য বৃষ্টিতেই চলার অযোগ্য রাস্তা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়েছে সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকার আশুলিয়ার ডিইপিজেড-ভাদাইল সড়কটি সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। অপরিকল্পিত সড়ক ও বাড়ি নির্মাণ এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকাই সড়কের এ বেহাল দশার জন্য দায়ী বলে এলাকাবাসীর দাবি। গতকাল সকালে ডিইপিজেডের বিপরীত পাশে পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের দেয়ালের পাশ দিয়ে ভাদাইল সড়কেন দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে এটি সড়ক নয়, যেন খাল। স্থানীয় ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতিন জানান, ডিইপিজেড কাছে থাকায় এ এলাকায় লক্ষাধিক লোকের বাস। এদের বেশির ভাগই পোশাক শ্রমিক। ভাদাইল এলাকায় প্রবেশের একমাত্র সড়কটিতে হাঁটু পানি জমে রয়েছে। ডিইপিজেড থেকে ভাদাইল এলাকার এ সড়কটি প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ। পুরো রাস্তা এখন পানিতে তলিয়ে আছে। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকার লোকজন। কর্মস্থলে আসা-যাওয়ায় সবাইকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়া প্রায়ই এ রাস্তায় ঘটছে দুর্ঘটনা। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, করোনার জন্য এখন স্কুল বন্ধ। কিন্তু যখন খোলা ছিল তখন এই সড়কে হাঁটতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের জামা, প্যান্ট ও জুতা ময়লা হয়ে যেত। প্রায়ই স্কুলে পৌঁছাতে দেরি হতো।

যানবাহনের চালকরা জানান, এ সড়কে চলতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। অকেজো হয়ে যায় গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। সড়কে চলাচলকারী কয়েকজন কারখানা শ্রমিক জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা থাকলেও কোনো প্রতিকার নেই। বর্ষা ছাড়াও পানি জমে থাকে সড়কে। অনেক সময় তাড়াহুড়া করে কারখানায় যেতে চাইলেও সড়কের কারণে সম্ভব হয় না। আশপাশের বাড়ির মালিকরা জানান, বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় রাস্তা। তাদের বাসাবাড়িতে পানি ঢোকে। ভাড়াটিয়ারা এ পরিবেশে থাকতে চায় না। সাভার উপজেলা প্রকৌশলী হাসান প্রামাণিক জানান, আঞ্চলিক সড়কগুলোতে সব কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে করোনার কারণে। এ সড়কটির ক্ষেত্রে আগেও কিছু জটিলতা ছিল। এখন আর সমস্যা নেই। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-অরুয়াইল সড়কের তিন অংশে কাজ চলছে। এর মধ্যে সেতরা নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজের পূূর্ব প্রান্ত থেকে সাবেক ইউপি সদস্য রহমত আলীর বাড়ি পর্যন্ত অংশে পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে কাজ চলমান অবস্থায় সড়কটি ভেঙে নেমে গেছে নিচের দিকে। বেহাল এ সড়ক দিয়েই কোন রকমে চলছে যানবাহন। জানা যায়, সরাইল অরুাইল সড়কের তিন অংশে কাজ করছেন তিনজন ঠিকাদার। গত দুই দিনের মুষলধারে বৃষ্টির কারণে পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের পাশে সড়কটি ভেঙে নিচের দিকে দেবে যাচ্ছে। আটকে যাচ্ছে বৃষ্টির পানি। সড়কের অন্য অংশগুলোও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসা বলেন, বিষয়গুলোর খোঁজখবর নিচ্ছি।

সর্বশেষ খবর