বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ধস নেমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৬০০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সেখানে এ সময় আদায় হয়েছে মাত্র ২ হাজার ৫৩৬ কোটি ৬৩ লাখ। রাজস্ব আদায় ঘাটতি রয়ে গেছে তিন হাজার ৭০ কোটি ১২ লাখ টাকা। বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা জানান, বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি হলেও উচ্চ শুল্ক হারের পণ্য আমদানি হ্রাস পেয়েছে। উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি হলে পাঁচ হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব আদায় হতো। করোনার প্রভাব, পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ এবং উচ্চ শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি কমে যাওয়া রাজস্ব ঘাটতির কারণ বলে মনে করেন তারা। বেনাপেল বন্দরের পরিচালক মামুন তরফদার জানান, দেশের অন্যতম স্থলবন্দর বেনাপোল। ভারত থেকে পণ্য আমদানির জন্য এ বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশের অন্য যে কোনো বন্দরের তুলনায় ভালো। সে কারণে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ পণ্য এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী বলেন, করোনার প্রভাবে গত আড়াই মাস ধরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে। তাছাড়া বেনাপোল বন্দর দিয়ে উচ্চ শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি কমেছে। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ওপারে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় সিন্ডিকটে তৈরি করে ট্রাক আটকিয়ে বড় ধরনের চাঁদাবাজি করছে। ফলে আমদানিকারকদের মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে। বর্তমানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেলপথে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমাদনি হচ্ছে। করোনার প্রভাব না থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করা সম্ভব ছিল।