প্রায় ৩০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির মাধ্যমে আমদানি পণ্য খালাসে সহযোগিতা করার অভিযোগে বেনাপোল কাস্টম হাউসের তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকির সহায়তায় লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে দুই সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের। রবিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বরখাস্ত কাস্টম কর্মকর্তারা হলেন- বেনাপোল কাস্টমের রাজস্ব কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুল্লাহ ও ইবনে নোমান। লাইসেন্স বাতিল করা সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান হল- মদিনা এন্টারপ্রাইজ এবং মাহিবি এন্টারপ্রাইজ। কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আলহামদুলিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ ভারত থেকে ৬৬৫ প্যাকেজ মোটরপার্টসসহ অন্য পণ্য আমদানি করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি। চালানটি আসার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে খবর আসে এতে বড় ধরনের অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকি রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট একজন রাজস্ব কর্মকর্তা ও দুজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চালানটি গোপনে খালাস করতে শুরু করে। একপর্যায়ে অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম টের পেয়ে চালানের চার ট্রাক পণ্য আটকের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে তিন কাস্টমস কর্মকর্তার সহযোগিতায় ট্রাকগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে সরকার প্রায় ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়। তদন্ত করে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ওই তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত এবং রাজস্ব ফাঁকির দায়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মদিনা এন্টারপ্রাইজ ও তার সহযোগী মাহিবি এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়।