বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা চিকিৎসকদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ

মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে কভিড-১৯ পজিটিভ  রোগীদের সেবা দেওয়ার কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক  নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের খাবার। খাবারের জন্য জনপ্রতি ৫০০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও তিন বেলার খাবারের যে মান তাতে ২৫০ টাকাও হবে না বলে অভিযোগ করেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তারা। গত ৩১ মে থেকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়। তারপর থেকে পর্যায়ক্রমে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সসহ ৯৩ জনকে এই আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে সেবা দেওয়া হয়। বর্তমানে হাসপাতালে ৩ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগী চিকিৎসাধীন। তিন শিফটে ২ জন করে  মোট ৬ জন একাটানা ৬দিন করে তাদের সেবা দেন। পরে তাদের চুক্তিবদ্ধ মেহেরপুরের ফিন টাওয়ার নামে একটি আবাসিক হোটেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। সরকারিভাবে তাদের থাকা খাওয়ার খরচ বহন করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোয়ারেন্টাইনে থাকা কয়েকজন বলেন, সকালে পাতলা ৪টি রুটি ও দুইটি ডিম ভাজি করে তিনটি ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও দুপুরের খাবারে  বেশ কয়েকদিন পর পর ছোট ছোট মাংস দিলেও বেশির সময় দেওয়া হচ্ছে খাবার অযোগ্য ছোট শিং মাছ ও নিম্নমানের মুরগির মাংস। রাতের বেলা একটি ডিম সঙ্গে সামান্য ডাল ও সবজি। সবজি ও ডালের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসকরা। আবাসিক হোটেল ফিন টাওয়ারের বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক তপন রেজা নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের কথা স্বীকার করে বলেন, ভ্যাট কেটে আমাদের জনপ্রতি দেওয়া হয় ৪১৫ টাকা। এতে করে সব খরচ মিটিয়ে আমাদের কিছুই লাভ হয় না। এ জন্য কিছু হেরফের তো হয়ই। মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছেও এমন অভিযোগ এসেছে। আমরা ফিন টাওয়ার কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে সতর্ক করে দিয়েছি। মেহেরপুর সিভিল সার্জন নাসির উদ্দিন জানান, এমন কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। যদি খাবারের মান নিম্ন হয় তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান মেহেরপুর প্রতিনিধিকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সর্বশেষ খবর