সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

পাহাড়ে ক্রেতা শূন্য পশুর হাট

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে ক্রেতা শূন্য পশুর হাট

ঈদুল আজহার অর্থাৎ কোরবানির ঈদ। বাকি মাত্র ৫দিন। তাই আগে-ভাগে প্রস্তুত করা হয়েছিল রাঙামাটির পশুর হাটগুলো। দূর পাহাড় থেকে আনা হয় হরেক রঙের গরু, মহিষ ও ছাগল। ক্রেতাদের আকর্ষণ করার জন্য টাইগার, কিং, সম্রাটসহ রাখা হয় বিভিন্ন নাম। তবুও চাহিদা না থাকায় হতাশ ব্যাপারিরা। তাই বাকি দিনগুলোতে না জমলে হাট, মাতায় পড়বে হাত বলছে গরুর মালিকরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর কোরবানির ঈদকে ঘিরে রাঙামাটি শহরের বসানো হয় বিশাল আকারের পশুর হাট। আর এ হাটে স্থান পায় বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, লংগদু, বরকল ও নানিয়ারচর উপজেলার গরু, মহিষ ও ছাগলগুলো। চাহিদা বেশি থাকায়, বেশি দামের আশায় শহরমুখী হতো পাহাড়ের গরু ব্যাপারীরা। কিন্তু এ বছর চিত্র ভিন্ন। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও রাঙামাটির পশুর হাটগুলোতে পাহাড় থেকে আনা হয় হরেক রঙের গরু। কিন্তু হাটের আশপাশেও নেই ক্রেতা। তাই জমেনি হাট।  এ ব্যাপারে কথা হয় গরু ব্যাপারী জ্যোতিময় চাকমার সঙ্গে। জুরাছড়ি থেকে তিনি মাত্র ৭টি গরু নিয়ে আসে রাঙামাটি শহরের পশুর হাটে। কিন্তু গেল এক সপ্তাহে বিক্রি করতে পারেনি একটিও। গরুর দামও সাধারণ মানুষের নাগালের ভিতর। তার প্রতিটি গরুর দাম ৩৫ থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে। কিন্তু তাতেও মানুষের চাহিদা নেই। তাই গরু নিয়ে অনেকটা বিপাকে তিনি। একই অবস্থা সফিকুল ইসলামের। লংগদু উপজেলার মাইনি থেকে ৬টি গরু নিয়ে আসে রাঙামাটি পৌর ট্রাক টার্মিনাল পশুর হাটে। কিন্তু একটি গরুরও দাম-দর করেনি কেউ। কষ্টে লালন করা পশু বিক্রি করতে না পেরে হতাশ তিনি।  পশুর চাহিদা না থাকার কারণ হিসেবে করোনাকালকে দুষছেন পশু ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ খবর