কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ২১ পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। জাল দলিল আর প্রভাব খাটিয়ে নিরীহ পরিবারগুলোকে হয়রানি করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের উত্তর কাউয়াকুড়ি গ্রামে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগে জানা যায়, উত্তর কাউয়াকুড়ি গ্রামে কাউয়াকুড়ি মৌজায় ১৯৫২ সালে সলেমূলে এক একর ৫৭ শতাংশ এবং ১৯৬২ সালে ২২ শতাংশ জমি কিনে বসতি গড়েন ছমিরা, সেকান্দার, বাদশা, জলিল ও গফুর। তাদের মৃত্যুর পর ওয়ারিশসূত্রে সন্তানরা বসবাস করে আসছে। স্থানীয় আলাউদ্দিন, সালাউদ্দিন ও কালাম গংরা ১৯৬২ সালে নিলাম কিনে এবং ১৯৭০ সালে একটি ভুয়া দলিল দেখিয়ে তাদের হয়রানি শুরু করেন। এক সময় মামলা দিয়ে ওই জায়গা দখলের চেষ্টাও করেন তারা। জাল দলিলের বিষয়ে জানাজানি হলে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন আলাউদ্দিনরা। তবে ওই জায়গার কিছু অংশ ভিপি সম্পত্তি হওয়ায় আদালতে সরকারের সঙ্গে ২১ পরিবারের মামলা চলছে। সম্প্রতি জাল দলিল করা ব্যক্তিরা প্রভাবশালীর সহায়তায় ওই অংশে কাঁটাতারের বেড়া দেয়। তাদের বাধা দিলে আনোয়ার, তার মেয়ে রিমা ও স্ত্রী সাহিদাকে পিটিয়ে আহত করে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ধলু মিয়া বলেন, আমাদের কেনা সম্পত্তি জাল দলিল দিয়ে কিছু ব্যক্তি দখলের চেষ্টা করছে। তারা যে দলিল নম্বর দেখিয়েছে, সেটা দুধখালি ইউনিয়নের একটি দলিল। যা ভুয়া বলে আদালতে প্রমাণিত। এরপর কুচক্রিমহল আমাদের ৬৮ বছরের পুরানো বাড়িঘর দখলের চেষ্টা করছে। আমরা দোষীদের বিচার চাই। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে কামাল গংদের কাউকে পাওয়া যায়নি। মাদারীপুর জজকোর্টের এপিপি অ্যাড. আবুল হাসান সোহেল বলেন, ‘ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন। এ অবস্থায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে তার দখল নেওয়ার সুযোগ নেই। আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। কেউ এমন কাজ করলে, তিনি অবশ্যই আইন অমান্য করেছেন।’