শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

লাকসামে আঞ্চলিক সড়কে সীমাহীন দুর্ভোগ

ফারুক আল শারাহ, লাকসাম (কুমিল্লা)

লাকসামে আঞ্চলিক সড়কে সীমাহীন দুর্ভোগ

কুমিল্লা-লাকসাম-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসাম অংশে মহাদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সড়কে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় হেলে-দুলে ও লাফিয়ে চলে পরিবহন। চলমান দুর্ভোগে যাত্রীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।  জানা যায়, কুমিল্লা-লাকসাম-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি ২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর চার লেনে উন্নীত করার কাজ উদ্বোধন করা হয়। চলতি ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও সড়টির ফোর লেনে উন্নীতকরণের সন্তোষজনক অগ্রগতি নেই।  কুমিল্লা দক্ষিণাঞ্চল, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার লাখ লাখ যাত্রী আঞ্চলিক এ মহাসড়কের লাকসাম হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে প্রতিদিন বাস, ট্রাক, সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত টমটম, ১৬ চাকার কনটেইনার মুভারসহ সব ধরনের যান চলাচল করে। চার লেন কাজে ধীরগতি এবং যানজটের কারণে আঞ্চলিক এ মহাসড়কের লাকসাম অংশে মহাদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। লাকসাম বাইপাস, চাঁদপুর রেলগেট, জংশন, মিশ্রি, হরিশ্চর, আলীশ্বর, বাগমারা, দক্ষিণ বাইপাস, ফতেপুর, বাটিয়াভিটা সড়কের মাঝখানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এতে প্রায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত এতদিন ফোর লেনের কাজ শুরু না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে ফোর লেন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত প্রায় দুই বছর টেন্ডার ঝুলে থাকে। তবে ইতিমধ্যেই দুই লেনের টেন্ডার হলেও কাজের অগ্রগতি নেই বললেই চলে। শহরের বাইপাস সড়কটি ৮৫-৯০ ভাগ চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বিভিন্ন পরিবহন দৌলতগঞ্জ বাজারের ওপর দিয়ে চলছে। সড়কটির ফোর লেনে উন্নীতকরণের কাজের সন্তোষজনক অগ্রগতি না হওয়ায় ইতিমধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সওজের কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শওকত আলী বলেন, কুমিল্লা টমছম ব্রিজ-নোয়াখালী ফোর লেন সড়কের নির্মাণকাজের চারটি প্যাকেজের মধ্যে লালমাই-লাকসাম প্যাকেজের কাজ সময়মতো শুরু করা যায়নি। এ প্যাকেজের এলাইনমেন্ট পরিবর্তন সিদ্ধান্তহীনতার জন্য কাজের টেন্ডার আহ্বান করতে দেরি হয়েছে। এক মাস আগে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করি যথাসময়ে উক্ত প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন হবে।

সর্বশেষ খবর