শিরোনাম
বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

নওগাঁয় বাড়ছে বন্যপ্রাণী হত্যা

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

নওগাঁয় বাড়ছে বন্যপ্রাণী হত্যা

সচেতনতার অভাবে নওগাঁয় বাড়ছে এভাবেই বন্যপ্রাণী হত্যা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বন্যপ্রাণী শিকার আদিবাসীদের শত বছরের ঐতিহ্যগত অনুশীলন। যা দল বেঁধে শিকার করে। পরে সেই মাংস দিয়ে উৎসব পালন করা তাদের বংশীয় পরম্পরা সংস্কৃতির অংশ। পরিবেশ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে প্রাণিকুল। আমাদের অসচেতনতা ও অজ্ঞতার কারণে অনেক প্রাণিকুল আজ বিলুপ্তির পথে। জানা গেছে, সচেতনতার অভাবে বাড়ছে বন্যপ্রাণী হত্যা। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের বাপ-দাদার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষায় প্রতি বছর জেলার কোথাও না কোথায় বন্যপ্রাণী হত্যার ঘটনা ঘটে থাকে। সচেতনতা না থাকায় তারা দলবেঁধে দিনক্ষণ ঠিক করে বন্যপ্রাণী হত্যায় মেতে উঠে। প্রতি বছরই এভাবে নির্বিচারে বন্যপ্রাণী হত্যা করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে সকল বন্যপ্রাণী শিকার দন্ডনীয় অপরাধ হলেও আদিবাসীদের এই অপরাধে শাস্তি পেতে হয় না। বর্তমান সভ্য যুগেও একটি গোষ্ঠী ঐতিহ্য রক্ষায় নির্মম নিষ্ঠুরভাবে প্রাণী হত্যা করে চলেছে। এর বিরুদ্ধে আইন থাকলেও বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে শাস্তি পেতে হয় না। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় হুমকির মুখে পড়বে প্রাণিজগৎ। তবে সচেতনরা মনে করছেন একমাত্র সচেতনতায় পারে বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধ করতে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এ নবম অধ্যায় (অপরাধ ও দন্ড) এর ৩৬ ও ৩৭ ধারায় উল্লেখ রয়েছে বাঘ, চিতা বাঘ, হাতি, হরিণ, লাম চিতা, উল্লুক, কুমির ও ঘড়িয়াল ইত্যাদি হত্যার অপরাধ করলে আইনের ৩৬ ধারায় দন্ড সর্বনিম্ন ২ বছর ও সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদন্ড এবং সর্বনিম্ন ১ লাখ ও সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ড। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সর্বোচ্চ ১২ বছর কারাদন্ড ও সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে। বন্যপ্রাণী শিকারি ধামইরহাটের আদিবাসী ফিলিমন সরেন, সুজিত, উজ্জ্বল মার্ডিসহ কয়েকজন জানান, আসলে এটা আমাদের ঐতিহ্যগত অভ্যাস। বন্যপ্রাণী হত্যার বিষয়ে যে আইন হয়েছে তা তাদের জানা নেই। যেহেতু বন্যপ্রাণী হত্যা একটি আইনত অপরাধ। আগামীতে আমরা এ হত্যা আর করব না।

সর্বশেষ খবর