শিরোনাম
বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, আটক ২

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় কিশোরীকে (১৫) তুলে নিয়ে হাওরে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল দুপুরে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ৩ যুবককে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে ধর্ষণের শিকার কিশোরীরকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গতকাল নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে কেন্দুয়া থানার পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে সোমবার রাতেই আটক করে। অপর আসামিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

পুলিশ, ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তার মায়ের সঙ্গে মাসকা গ্রামে নানার বাড়িতেই থাকেন। এদিকে একই গ্রামে অভিযুক্ত যুবকদেরও নানার বাড়ি। তারাও সবাই নানার বাড়িতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে। একজনের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্র ধরে পালিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারায় কিশোরীকে গত সোমবার সন্ধ্যার পর তুলে নিয়ে যায় তিনজন যুবক। পরে তিনজনের একজন রানা যার সঙ্গে সর্ম্পক ছিল। তিনি অন্য দুজন মোবারক ও শাহ আলমকে অটো আনতে পাঠিয়ে দেয়। অটো না পেয়ে ওই দ্ইু যুবক ফিরে আসতে আসতে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় রানা। এদিকে কিশোরীর পরিবার রাতে কিশোরীকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকলে কিশোরী বাড়ির কাছে এসেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। এর মধ্যেই ধর্ষণকারী অভিযুক্ত রানার নামসহ অন্যদের নাম বললে কিশোরীর ভাইসহ গ্রামবাসী মোবারক ও শাহ আলমকে আটক করে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ গিয়ে দুজনকে থানায় নিয়ে আসে। আটক দুই যুবক সম্পর্কে খালাতো ভাই। ভুক্তভোগী নিজে জানায়, সে সন্ধ্যার রান্না করে বাড়ির বাইরে গেলে দুজন তাকে মুখে চেপে তুলে নিয়ে যায়। পরে সেখানে রানা তাকে ধর্ষণ করে। তবে রানার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও সে জানায়। রানার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী সত্যতা  নিশ্চিত করে জানান, আমরা আলামত জব্দ করেছি। মেডিকেল রিপোর্ট পেলে সি আইডিতে পাঠানো হবে  ডিএনএ টেস্ট এর জন্য। আশা করছি সঠিক বিচার পাবে কিশোরী।  

সর্বশেষ খবর