শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অসহনীয় যানজটের কবলে নেত্রকোনা

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

অসহনীয় যানজটের কবলে নেত্রকোনা শহর। দিন দিন বেড়েই চলছে এ শহরের যানজট। প্রতিদিন ভোর থেকে বিকাল রাত অব্দি শহরে অসহনীয় যানজট লেগেই থাকে। একসময় শুধু শহরের মোক্তারপাড়া থেকে ছোটবাজার হয়ে তেরি বাজার ও আখড়ার মোড়ে এই জট দেখা যেত। এরপর ধীরে ধীরে মালনী রোড ও সাতপাই কলেজ রোড দিয়ে থানার মোড় পর্যন্ত ঠেকেছে। সবশেষ গত দুই দিন ধরে শহরের একমাথা জয়নগর থেকে অপরপ্রান্ত রাজুর বাজার এবং অন্য আরেক প্রান্ত সাতপাই  কালীবাড়ি সরকারি কলেজ রোড পার হয়ে রেলক্রসিং পর্যন্ত জ্যাম লেগেই থাকছে। আর সেই জ্যাম সকাল দুপুর বিকাল সময়ে ঘণ্টা সময় ধরে চলে। এভাবে মানুষ প্রতিদিন চলাচলে মাত্র সাড়ে তিন কিলোমিটার শহরের সড়কে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় মানুষের জ্যামে অপচয় হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় হয়। কিন্তু সেই অপব্যয়ের সময় দীর্ঘ হতে হতে এখন সন্ধ্যা এবং রাতেও যানজট লেগে বাড়ছে সময়। আর সেই যানজট শুধু মেইন সড়কেই নয়। এখন অলিগলিতেও অটোরিকশার জ্যাম আটকে বসে থাকে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মোক্তারপাড়া ব্রিজ থেকে তেরিবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ সারি অটোরিকশার এই দৃশ্য অহর্নিশ। তেমনি গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় কালিবাড়ি মোড় থেকে শুরু হয় এই যানজট।

সেখান থেকে দীর্ঘ একঘণ্টা পর মানুষ পরিত্রাণ পায়। যানজটে আটকে থাকা শাহজাহান ও অসীত বাবু নামে দুজন বলেন সব যানজটের মূল কারণ অটোরিকশা। শহরে হাজার হাজার অটোরিকশা চলে। যা ট্রাফিকরাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ওরা যেখানে খুশি সেখানে থামায় এমনকি একটা আরেকটাকে ওভারটেক করতে গিয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে চালায়। যে কারণে অন্য একটির সঙ্গে ধাক্কাও লাগে অহর্নিশ। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকারও হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শহরে আনুমানিক ১০/১৫ হাজার চলাচল করছে অটোরিকশা।  সব লাইসেন্সবিহীন। এদিকে রফিক নামের এক অটোরিকশা চালক জানায়, এগুলোর মূল কারণ সড়কে চাঁদা। প্রতিদিন ১০ টাকা করে চাঁদা দিলেই ঘুরতে পারে। আমরা যারা কষ্ট করে লাইসেন্স করেছি তারা হুদাই (এমনি এমনি) করেছি। এসব কিছুই লাগে না ওদের। আমাদের টাকাগুলো শুধু শুধু খরচ। শহরে ২ হাজার অটোরিকশা চলারই অবস্থা  নেই। সেখানে চলছে ১০ থেকে ১২ হাজার। পথচারী নাজনীন সুলতানা জানান, অটোরিকশা তো হাজারে হাজার আছেই। এর ওপর রয়েছে ট্রাক, ট্রাক্টরের চলাচল। দিন রাত তারা চলেই যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান জানান, পৌর শহরে লাইসেন্স রয়েছে দুই শিফটে ১১০০ করে ২ হাজার দুইশটি অটোর। সকালে ১ হাজার ১০০ চলবে বিকালে ১ হাজার ১০০ চলবে। বাড়তি একটা লাইসেন্সও দেওয়া হয়নি। তবুও যানজট কেন বাড়ছে এ নিয়ে তিনিও শঙ্কিত।

সর্বশেষ খবর