শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ফুলপুরের সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে নতুন সাব-রেজিস্ট্রার যোগদান না করায় গ্রাহক ভোগান্তি চরমে। প্রতিদিন প্রায় ৭-৮ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। জানা যায়, সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার মো. জাহাঙ্গীর আলম গত ৮ নভেম্বর ফুলপুর থেকে ঢাকায় বদলি হন। এর ১০ দিন পর গত ১৮ নভেম্বর ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার নূরুল আমীন তালুকদারকে ফুলপুরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি সপ্তাহে দুই দিন অফিস করার কথা থাকলেও বিভিন্ন ছুটির কারণে নিয়মিত একদিনও অফিস করতে পারছেন না। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দলিল লেখক ও জমি বিক্রি ও কেনার ব্যক্তিরা।

দলিল লেখক আবু রায়হান সরকার, হাবিবুর রহমান ও আশরাফ আলী বলেন, সাব-রেজিস্ট্রারের অভাবে সরকারি কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। সময়মতো দলিল সম্পাদন করতে পারছি না। মোকামিয়া গ্রামের আলহাজ আবদুল কুদ্দুস বলেন, দুই দিন অফিসে গিয়েও সাব-রেজিস্ট্রার পাইনি। দলিল সম্পাদন করতে না পারায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও আর্থিক লেনদেনসহ অনেক কিছু আটকে আছে গ্রাহকদের নানামুখী কাজ। জানা যায়, ফুলপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি দলিল সম্পাদন হয়ে থাকে। এসব দলিল সম্পাদন করায় নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প শুল্ক (পিও), রেজিস্ট্রি ফি ও স্থানীয় সরকার করসহ বিভিন্ন কর আদায় বাবদ সরকার প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা করে রাজস্ব পেয়ে থাকে। কিন্তু ফুলপুরে সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় সরকারি জটিলতা তৈরি হচ্ছে। ফলে দলিল রেজিস্ট্রি হচ্ছে কম। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এ ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ চায় দলিল লেখক ও গ্রাহকরা। তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জরুরিভিত্তিতে একজন সাব-রেজিস্ট্রার পদায়নের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ফুলপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তার বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। জরুরিভিত্তিতে একজন স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার পদায়ন প্রয়োজন। জানতে চাইলে জেলা রেজিস্ট্রার মোহসেন মিয়া বলেন, অস্থায়ীভাবে আমরা একজন সাব- রেজিস্ট্রারকে পদায়ন দিয়েছি। স্থায়ী পদের পদায়নের দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দেখব।

সর্বশেষ খবর