নওগাঁর আত্রাই নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজের বেহাল দশা। এ ব্রিজের স্টিলের পাটাতনে জং ধরে বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র হওয়ায় দিন দিন চলাচলে ঝুঁকি বাড়ছে। পথচারীদের সতর্ক করতে সেই ছিদ্রতে কাঠ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। তারপরও ব্রিজ পারাপারে ভারী ও হালকা যানবাহনের অবিরাম চলাচল করায় ছিদ্রের আকার দিন দিন বাড়ছে। এ ছাড়া ব্রিজের বেশির ভাগ পাটাতন নড়বড়ে হয়ে গেছে। এটি পারাপারে কাঁপতে থাকে। কখন এই ব্রিজ ভেঙে পড়বে। সতর্কভাবে যানবাহন এবং লোকজন কোনো রকমে ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পারাপার হচ্ছেন। এটি আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে নদীর দক্ষিণ পারের সংযোগকারী একমাত্র বেইলি ব্রিজ। প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন এবং মানুষের চলাচলের এই বেইলি ব্রিজটি দিনের পর দিন এমন দৈন্যদশায় থাকলেও এটি মেরামতের কোনো উদ্যোগই নেয়নি কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালে তৎকালীন সরকার রেলওয়ের পুরোনো পিলারের ওপর এ ব্রিজটি নির্মাণ করেন। ব্রিজ নির্মাণের পর হতে নদীর উভয় পার্শ্বের মধ্যে সেতুবন্ধ ঘটায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ যোগাযোগ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। এরপর থেকে আত্রাই নদীর ওপর দিয়ে পার্শ্ববর্তী নাটোর, নওগাঁ, বগুড়া এবং রাজশাহী জেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার সেতুবন্ধ হয়। সংস্কারের অভাবে ব্রিজটির পাটাতনের লোহায় জং ধরে জরাজীর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। ব্রিজ পারাপারে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যানবাহন এবং এলাকাবাসী। আকলিমা খানম নামের এক পথচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিনিয়ত এ ব্রিজ দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন এবং মানুষ যাতায়াত করেন। আর এই ব্রিজে উঠে ভয়ে থাকতে হয় কখন পা গর্তে পড়ে যায়। আরেক পথচারী আরমান হোসেন বলেন, ব্রিজের পাটাতন অনেক দিন থেকেই ভাঙা থাকায় যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়ই হোঁচট খেতে হয়। রাতের বেলায় ব্রিজে কোনো বাতি না থাকায় সন্ধ্যার পরই ভুতুড়ে অবস্থা বিরাজ করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছানাউল ইসলাম বলেন, শিগগিরই মেরামত করা হবে ব্রিজের।