বগুড়ার শেরপুরে জোড়গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে আহসান হাবিব নামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে। তিনি বিদ্যালয়ের সরকারি গাছগুলো নিজের দাবি করে গত বৃহস্পতিবার থেকে কাটা শুরু করেন। আহসান হাবিব উপজেলার সুঘাট ইউনিয়ন শাখার ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া জোড়গাছা গ্রামের বাসিন্দা এই নেতা আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলের মনোনীত প্রার্থী তিনি। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা গোলাম রব্বানী জানান, ১৯৯০ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরকারিভাবে ১০০টি বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ-বনজ গাছ রোপণের জন্য দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এই বিদ্যালয়টিতেও ওই গাছগুলো লাগানো হয়। বর্তমানে গাছগুলো বেশ বড় ও দামি হয়েছে। কিন্তু জোড়গাছা গ্রামের সিরাজ সেখের ছেলে আহসান হাবিব ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিদ্যালয়ের সরকারি গাছগুলো কাটা শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে কাউকে তোয়াক্কা করছেন না। মানছেন না কোনো নিয়ম। জোড়গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা খাতুন জানান, বৈশি^ক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ। আর এই সুযোগে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নিচ্ছেন তিনি। ঘটনার দিন উপবৃত্তির কাজে স্কুলে এসে একটি গাছ কাটা দেখতে পান। এ ছাড়া অন্য গাছগুলো কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আহসান হাবিবের নেতৃত্বে শ্রমিকরা।
পরে তাৎক্ষণিক তার দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের সভাপতিকেও জানানো হয়। জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সভাপতি আরিফুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি জানার পর স্কুলে এসে তাকে নিষেধ করা হয়। কিন্তু ওই ইশা আন্দোলনের নেতা আহসান হাবিব কোনো কথাই মানতে নারাজ। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিনা পারভীন জানান, গাছ কাটার বিষয়টি জানার পর ইউএনওর সঙ্গে পরামর্শ করে গাছ কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইশা আন্দোলনের সুঘাট ইউনিয়ন শাখার সেক্রেটারি আহসান হাবিব বলেন, স্কুলের সঙ্গেই আমার জমি। এছাড়া গাছগুলোর মালিকও আমি। কিন্তু জমির আইলে গাছ থাকার কারণে ফসল উৎপাদন কম হচ্ছে। তাই গাছগুলো কেটে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন।