রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভরসা ৭০০ ফুট দীর্ঘ সাঁকো

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ভরসা ৭০০ ফুট দীর্ঘ সাঁকো

স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের সেতারা নদীর (ছেত্রা নদী) উপর নির্মিত হয়নি ব্রিজ। ফলে অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের লোকজনকে ৭০০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবার সংসদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে সেতারা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরবর্তীতে ভুলে যান। বর্ষাকালে এখানকার লোকজন নৌকা দিয়ে চলাচল করতে পারলেও শুষ্ক মৌসুমে এই সাঁকোর ওপর দিয়েই চলাচল করতে হয়। প্রতিদিন উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রানিদিয়া, অরুয়াইল, বাদে অরুয়াইল, ধামাউড়া, দুবাজাইল, কাকরিয়া, রাজাপুর, বানিয়ারটেক ও সিঙ্গাপুর এবং পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর, ফতেহপুর, হরিপুর, বড়াইছড়া ও ষাটবাড়িয়া গ্রামের লোকজন এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করেন। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার খলাপাড়া, মেন্দিপুর, সাদেকপুর, আগানগর, জাফরনগর, শ্রীনগর ও বাজিতপুর উপজেলার নোয়াপাড়া, কইটুপি, মধ্যচর ও কামার বাল্লি গ্রামের লোকজন মেঘনা নদী পার হয়ে এই সাঁকো দিয়ে সরাইল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে যাতায়াত করেন। এলাকাবাসী জানান, দুই ইউনিয়নের প্রায় সহাস্রাধিক শিক্ষার্থী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করেন। এসব শিক্ষার্থীসহ গ্রামের ৬/৭ হাজার মানুষ এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার হন। এজন্য তাদেরকে জনপ্রতি দুই টাকা করে টোল দিতে হয়। প্রায় সাতশ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট প্রস্থের এই সাঁকো দিয়ে মোটর সাইকেল চলাচল করতে পারলেও যাত্রীবাহী রিকশা বা পণ্যবাহী ভ্যান চলাচল করতে পারে না। বাধ্য হয়ে কাঁধে করেই উৎপাদিত কৃষি পণ্যসহ মালামাল নিয়ে সাঁকো পারাপার হতে হয়।  সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, সেতারা নদীতে ব্রিজ নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। আশাকরি কিছুদিনের মধ্যেই ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি অনুমোদন হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর