সারা দেশে কৃষকদের কাছে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের গমের। জমি সংকটে চাহিদা অনুযায়ী বীজ উৎপাদন করতে পারছে না গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট-দিনাজপুর। কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী বীজ সরবরাহ করা গেলে ২-১ বছরেই দেশে দ্বিগুণ গম উৎপাদন সম্ভব হবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিডব্লিউএমআরআই) নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করে প্রজনন বীজের জাত সম্প্রসারণের সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এ অগ্রযাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জমি সংকট। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ সুগারমিলের কান্তা ফার্মাসহ বিভিন্ন স্থানের পরিত্যক্ত জমি লিজে নেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত জমি পেলে বিডব্লিউএমআরআই সারা দেশের কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের গম বীজ সরবরাহ করতে পারবে। বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট-দিনাজপুরের মহাপরিচালক ড. এছরাইল হোসেন জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান গমের ফলন ও উৎপাদন বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে ২ হাজার ৩০৫ জন কৃষকের জমিতে প্রদর্শনী খামার করা হচ্ছে।