তীব্র শীতে লালমনিরহাটের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। গত ২ দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। ভোগান্তিতে আছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের কয়েক লাখ শীতার্ত মানুষের কষ্ট বেড়েছে। শীতের পোশাক না থাকায় তিস্তা-ধরলাপাড়ের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। গতকাল লালমনিরহাটের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৌষের শেষ সপ্তাহ থেকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় কাজের সন্ধানে ঘরের বাইরে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন খেটে-খাওয়া মানুষ। লালমনিরহাটের সির্ভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, গত দুই দিনে শীতের তীব্রতা বেশি হওয়ায় সদর হাসপাতালসহ ৫টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭৩ জন শীতজনিত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন ৮৯ জন। এদিকে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আবার শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে সবকিছু। গত দুই দিন ধরে প্রবাহিত হচ্ছে হিম বায়ু। দিনের অধিকাংশ সময় কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে। সারা দিন সূর্যের দেখা মিলছে না। দিনের বেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। হাড় কাঁপানো শীতে জেলার সাধারণ মানুষ কাজে যেতে পারছেন না। অসহায় হয়ে পড়েছেন খেটে খাওয়া লোকজন। গরম কাপড়ের সংকটের কথা জানান তারা। প্রচন্ড ঠান্ডা থেকে পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষকে রক্ষায় গরম কাপড় দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ক্ষেতমজুর সমিতি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি করেছেন তারা। পঞ্চগড় সরকারি মিলনায়তন চত্বর থেকে গতকাল দুপুরে মিছিলটি বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।