নতুন কাঠের খাচায় আশ্রয় ও হাঁসের মাংসের খাবার মিলেছে কুমিল্লায় সন্ধান পাওয়া লক্ষ্মীপেঁচার সেই চার ছানার। গত বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপেঁচার ছানাগুলোকে খাবার খাওয়ানো ও কাঠের বাসা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা সামাজিক বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম বলেন, চিড়িয়াখানা বা অন্য কোথাও দিলে ছানাগুলো মরে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। পরে বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা মোশারফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি বৃহস্পতিবার থেকে লক্ষ্মীপেঁচার ছানাগুলোকে দেখভাল শুরু করেছেন। ছানাগুলোর জন্য বাসা তৈরি করেছেন। এইড কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া বেগম শেফালী বলেন, অফিসের ছাদে যেখানে রাতের বেলা লক্ষ্মীপেঁচাগুলো বসে পোকামাকড় ধরে খাবার খায় ঠিক তার কাছাকাছি একটি কাঠের তৈরি খাঁচার ভিতর রাখা হয়েছে। এতে করে ছানাগুলো বাবা-মায়ের সান্নিধ্য পাবে।

বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা মোশারফ হোসেন জানান, তিনি ২০১৪ সাল থেকে বন্যপ্রাণীর ফটোগ্রাফি করেন। তখন থেকেই তিনি পাখিদের খাদ্যাভ্যাস ও পাখিদের আচার-আচরণ সম্পর্কে জানেন। দিনভর ছানাগুলোকে খাবার খাইয়েছেন। তাদের জন্য বাসা তৈরি করে দিয়েছেন। এখন থেকে পর্যবেক্ষণ চলবে। লক্ষ্মীপেঁচার ছানাগুলো যেন তাদের বাবা-মাকে ফিরে পায়। উল্লেখ্য, কুমিল্লা সদর উপজেলার রঘুপুর এলাকায় অবস্থিত এনজিও এইড কুমিল্লার কার্যালয়ের ফলস ছাদে বাসা তৈরি করে একজোড়া লক্ষ্মীপেঁচা। এ লক্ষ্মীপেঁচার চারটি ফুটফুটে ছানা হয়েছে। বুধবার এগুলোর সন্ধ্যান মেলে।