শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

এক বছর বন্ধ বর্ডার হাট

বিপাকে বাংলাদেশ-ভারতের ব্যবসায়ীরা

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

এক বছর বন্ধ বর্ডার হাট

এক বছর ধরে বন্ধ কুড়িগ্রামের বালিয়ামারী বর্ডার হাটের প্রধান ফটক

কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী বর্ডার হাট (সীমান্তবর্তী হাট) প্রায় ১ বছর ধরে বন্ধ। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সাময়িক বন্ধ রাখা হলেও এখনো চালু হয়নি। ফলে বাংলাদেশ-ভারতে ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। এ হাটটি প্রতি সপ্তাহে সোম ও বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চালু ছিল। জানা যায়, রাজিবপুর উপজেলা এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্যের আমপাতি জেলার মহেন্দ্রগঞ্জ থানার সীমান্তে অবস্থিত বালিয়ামারী-কালাইরচর বর্ডারহাট। করোনাভাইরাস ঠেকাতে সতর্কতা হিসেবে বাংলাদেশ অংশের বর্ডারহাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এ হাটের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে আর হাটটি চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এ হাটকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সীমান্তসহ আশপাশের দরিদ্র মানুষের জীবন-জীবিকা যে অনুষঙ্গ গড়ে তুলেছিল তা স্থবির হয়ে পড়ে। ক্ষতির মুখে পড়েন হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা। দ্রুত হাটটি চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা। বাংলাদেশের বিক্রেতা মাজেদা বেগম ও তার দুই মেয়ে বাড়িতে তৈরি বালিশ, শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছা এ হাটে বিক্রি করেন। ৭-৮ বছর ধরে তারা এ ব্যবসা করে সংসার চালাচ্ছেন। হাট বন্ধ থাকায় এখন পুঁজি হারিয়ে পথে বসার অবস্থা তার। কষ্টে দিন কাটছে। মাজেদা বলেন, আমরা জানি বাংলাদেশের অনেক স্থলবন্দর করোনাকালে বন্ধ ছিল। এখন আবার চালু হয়েছে। কিন্তু এখনো বালিয়ামারী সীমান্ত হাট চালু হচ্ছে না। বর্ডারহাট কমিটির সদস্য ও রাজিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আলম বাদল জানান, করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ সময় হাটটি বন্ধ রয়েছে। এতে দুই দেশের ক্রেতা-বিক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি আমরা কমিটির সভাপতিসহ মিটিং করেছি। শিগগিরই হয়তো খুলবে। এ হাটে বাংলাদেশের ২৫ জন বিক্রেতা ও ৬১৪ জন ক্রেতা এবং ভারতের ৫০ জন বিক্রেতা ও ৩৫৯ জন ক্রেতা প্রতি সোম ও বুধবার কেনাবেচা করতেন। এদিকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবার বর্ডারহাটটি চালু করতে ইতিমধ্যে ভারতের ব্যবস্থাপনা কমিটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে। ভারতের দেওয়া চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বর্ডারহাট ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ও কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুজাউদ্দৌলা জানান, আমরা গত ১৮ জানুয়ারি পুনরায় হাট বসা নিয়ে সভা করে রেজুলেশন করেছি। শিগগিরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এটি পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমতি পেলে পুনরায় এ হাটের কার্যক্রম চালু করা যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর