বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা নদীর চরে জেগে ওঠা বালুচরে ঘটেছে কৃষিবিপ্লব। নদীর চরে ফসল ফলিয়ে আয়ের স্বপ্ন দেখছেন ভাঙনকবলিতরা। বিস্তীর্ণ বালুচরে শোভা পাচ্ছে নানা রকম ফসল। যমুনার চরে এক সময় ছিল ধু-ধু বালু। পলিমাটি জমে এখন তা উর্বর আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। চলতি বছর বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরই স্থানীয় কৃষকরা জমি চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যমুনার তীরবর্তী সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনটে চরাঞ্চল বেশি থাকায় সেখানে ফসল আবাদও হয় বেশি। চরের জমিতে চাষ হচ্ছে মরিচ, ভুট্টা, পাট, ধান, গম, সরিষা, চিনা বাদাম, মিষ্টি কুমড়া, আলু, মিষ্টি আলু, রসুন, পিঁয়াজ, কাউন, মসুর ডাল, খেসারি ডালসহ প্রায় সব ধরনের শাক-সবজি। এর মধ্যে মরিচের চাষ বেশি হয়। জানা যায় এবার চরাঞ্চলে সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে দেশি ও হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে লাল মরিচ। চাষিরা ইতিমধ্যে মরিচ বিক্রি শুরু করেছেন। চরাঞ্চলের ২৫০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা ও ২১০০ হেক্টরে পাট চাষ হয়ে থাকে। মোট ১৬ হাজার ৭৩৩ হেক্টর জমিতে ফসল ফলান কৃষকরা। এক ফসল ঘরে তুলে আবার নতুন ফসল ফলাতে জমি পরিচর্যা শুরু করে দেন কৃষকরা। ভাঙনের শিকার শত শত পরিবার নদীর চর কাজে লাগিয়ে অভাব দূর করছেন।