মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

বর্জ্যরে ভাগাড় বুড়িখোড়া নদী

নীলফামারী প্রতিনিধি

বর্জ্যরে ভাগাড় বুড়িখোড়া নদী

নীলফামারী জেলা শহরের টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ এলাকার কয়েকটি কারখানার বর্জ্যে দূষিত হয়ে পড়েছে বুড়িখোড়া নদীর পানি। এসব দূষিত বর্জ্যরে কারণে পানি ও বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির সব মাছ। এতে মাছের উপর নির্ভরশীল জেলে পরিবারগুলো হয়ে পড়েছে বেকার। টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ এলাকায় দূষণের মাত্রা বেশি। স্থানীয়রা বলছেন, ওইসব কারখানার বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলায় দূষিত  হয়ে গেছে নদীর পানি। ফলে মৎস্যসম্পদ জীববৈচিত্র্য পড়েছে হুমকির মুখে। টুপামারী দুহুলীপাড়ার মেরিনা বেগম বলেন, এই নদীতে এক সময় আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে গোসল করতাম। ময়লার গন্ধে এখন আর নদীতে নামা যায় না। একই এলাকার সাইদুল আলম জানান, কয়েকটি কারখানা এ অঞ্চলে চালু হওয়ার পর থেকে নদীর পানি এখন মানুষ ও গবাদি প্রাণির ব্যবহার অনুপযোগী। পানি বিষাক্ত হওয়ায় এ নদী এখন প্রায় মৎস্য বিলুপ্ত।  রামগঞ্জ বাজার এলাকার জেলে প্রদীপ চন্দ্র রায়  বলেন, এক সময় এই নদীতে মাছ ছিল। এখন নদীতে আগের মতো মাছ নেই। বর্জ্যরে কারণে রামগঞ্জ এলাকা থেকে নদীর ভাটিতে চাঁদের হাট ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত মাছ পাওয়া গেলেও তা রান্নার পরে গন্ধে মুখে তোলা যায় না। নীলফামারী উন্নয়ন অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের সভাপতি আবু মুসা মাহামুদুল হক বলেন, শিল্প বর্জ্যে বিষাক্ত হয়ে গেছে বুড়িখোড়া নদী। নদী দূষণের কারণে জলবায়ুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এতে আমাদের মৎস্য ও প্রাণিকুলের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে  পরিবেশে ব্যাপক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় কারখানার ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, বর্জ্যরে কারণে নদীর দিকে কোনো সংযোগ নেই। নদীকে দূষণমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  

সর্বশেষ খবর