শুক্রবার, ২১ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

নাব্য সংকটে কাপ্তাই হ্রদ

৬১ বছর পর ড্রেজিংয়ের অনুমোদন

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

নাব্য সংকটে কাপ্তাই হ্রদ

পানিবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৬০ সালে খরস্রোতা কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে সৃষ্টি করা হয় রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ। এটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম জলরাশি। এর আয়তন ৭২৫ বর্গ কিলোমিটার। বিদ্যুতের পাশাপাশি মাছ উৎপাদন, নৌ-যোগাযোগ, জমিতে সেচ, পর্যটনসহ নানা সুযোগ ও সম্ভাবনা গড়ে ওঠে কাপ্তাই হ্রদ ঘিরে। এত সম্ভাবনার পরও দীর্ঘ ৬১ বছরে হ্রদের সংস্কার, ড্রেজিং বা খননের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। কালের আবর্তে এখন নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে কাপ্তাই হ্রদে। পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে তলদেশ। জানা গেছে, অস্তিত্ব রক্ষায় ৬১ বছর পর সম্ভাবনাময় কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের অনুমোদন মিলেছে। কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান জানান, খুব শিগগিরই শুরু হবে এর ডেজিং কর্যক্রম। তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদে লিখিতভাবে জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের অনুমোদন দিয়েছেন। ড্রেজিংয়ের বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।

পরিবেশ, বন মৎস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। অভিযোগ আছে, দীর্ঘদিন ধরে যেমন রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিং হয়নি, তেমনি এর সীমানাও নির্ধারণ করা হয়নি। ফলে হ্রদ ঘিরে চলছে দখল-দূষণের মচ্ছব। পাড় দখল করে গড়ে উঠছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। নির্মাণ করা হয়েছে বহুতল ভবনও। শুধু তাই নয়, বছরের পর বছর পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে আসা পলিতে ভরাট হয়ে যাচ্ছে হ্রদের তলদেশ।

সর্বশেষ খবর