একদিকে করোনার প্রভাবে কাজ নেই, অন্যদিকে নদীর ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দির দক্ষিণাঞ্চলের ৩০ জেলে পরিবার। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদীর ভাঙনও শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনে উপজেলার হরিণা বাজারখোলা এলাকায় ধনাগোদা নদীর ভাঙন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাঙনে চারটি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ পরিবারগুলো হয়ে পড়েছে নিঃস্ব। এ গ্রামের আরও ২৬ পরিবার নদীভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। নদীভাঙনকবলিত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে এলাকাবাসী বলেছেন, ইতিমধ্যেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন সরেজমিন ভাঙন এলাকায় গিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। যে চারটি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে তাদের দেখা গেছে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করতে। নদীর ভাঙনস্থল পরিদর্শনে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত বসন্ত ভক্ত, যতিন্দ্র, খগেন্দ্র ও মানিক বলেন, আমরা দিন এনে দিন খাই। এভাবে সংসার চলে আমাদের। নদীতে মাছ ধরি, মাছ বিক্রি করে ছেলেপুলে নিয়ে খাই। এখন নদীতে মাছও পাই না। করোনার কারণে তেমন কাজকর্ম নেই। এই অবস্থায় পেটের খাবার জোটাব নাকি থাকার আশ্রয় খুঁজব। ষাটোর্ধ্ব মরনী সুন্দরী ও কাননবালা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বাবারে আমাদের কিছু নাই, এখন ভিটেটুকু রক্ষা করতে না পারলে কোথায় গিয়ে উঠব। সরকার কোনো খোঁজখবর রাখে না।