মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

নাটোরে করোনার টিকা নিতে উপচে পড়া ভিড়

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে করোনার টিকা নিতে উপচে পড়া ভিড়

করোনাভাইরাসের টিকা নিতে নাটোর আধুনিক হাসপাতালে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এখানে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো প্রবণতা দেখা যায়নি। মানুষের গাদাগাদিতে অনেকেই কভিড-১৯ টিকা নিতে না পেরে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানান স্থানীয়রা। ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে নাটোর জেলার সাধারণ মানুষের মাঝে টিকা নেওয়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পেতে থাকে। কেউ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার মেসেজ পেয়ে আসছেন। আবার অনেকে মেসেজ না পেয়েও ভিড় করছেন হাসপাতালে। এমন অবস্থায় কয়েক দিন ধরে টিকার প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বিএমএ ভবনে মানুষের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় টিকা প্রদানে ডাক্তার ও নার্সদের হিমশিম খেতে দেখা গেছে। গতকাল নাটোর আধুনিক হাসপাতাল এবং বিএমএ ভবন কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। তবে সেখানে সকাল ৭টা থেকে টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, নাটোর আধুনিক হাসপাতালে দুটি বুথে এবং পুলিশ লাইনের একটি বুথে করোনার টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। পুলিশ লাইন কেন্দ্রে মানুষের ভিড় বেশি হওয়ায় গত সোমবার কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরেজমিন সকাল ১০টায় গিয়ে দেখা যায়, বিএমএ ভবনে পুরুষদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। কক্ষ থেকে শুরু হওয়া লাইন হাসপাতাল কোয়ার্টার প্রাঙ্গণে মাঠ এঁকেবেঁকে একেবারে প্রধান ফটকের বাইরে চলে গেছে। বাইরে ও সামনের সড়কেও ১০০ থেকে ১৫০ মানুষের দীর্ঘ লাইন। আর হাসপাতাল ভবনে নারীরা দুই তিন লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।

সব মিলিয়ে অন্তত ৩ হাজার মানুষ আজ টিকা নিতে এই দুটো কেন্দ্রে এসেছেন। টিকা নিতে আসা গৃহবধূ আসমা বেগম ও রাবেয়া খাতুন বলেন, ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে বাসায় রেখে সকাল ৯টায় এসেছিলাম। তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে একটু আগে টিকা দিতে পারলাম। তবে ব্যাপক ভিড়, ধাক্কাধাক্কি এবং অব্যবস্থাপনার অভাব বোধ করলাম। বিএমএ ভবনের সামনে টিকা নিতে আসা আবদুল আজিজ ও মজনু মিয়া জানান, টিকা নিতে এসেছি সকাল ৯টায় এখন বাজে ১২টা। তখন থেকে দেখছি এখানে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো প্রবণতা নেই। ফলে এখান থেকেই করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। অতিদ্রুত বুথ বা কেন্দ্র বাড়ানো উচিত। সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, আগের তুলনায় টিকা গ্রহণে আগ্রহীর সংখ্যা বাড়ছে। মানুষের মনে যে শঙ্কা ছিল তা দূর হয়ে গেছে। সরকার বয়সসীমা ৩৫ করার পর মানুষের মধ্যে আরও আগ্রহ বেড়েছে। সুশৃঙ্খলভাবে ধৈর্য ধরে দাঁড়ালে সবাইকে আমরা টিকা দিতে পারব। এ বিষয়ে নাটোরের জেলা সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর