জলঢাকার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের টেলিনর ঘাটে ধুম নদের ওপর সেতু না থাকায় দুই পাড়ের ১০ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরমে। তাদের চলাচলের একমাত্র বাঁশের সাঁকোটিও ভেঙে পড়েছে। নদের দুই প্রান্তের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করেছিলেন। যাতায়াতের অনুপযোগী হওয়ায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ওই এলাকায়। গ্রামবাসী পারাপারে ব্যবহার করেন কলা গাছের ভেলা। কলার ভেলা অল্প দিনে পচে যায়, ওজন একটু বেশি হলেই তলিয়ে যায়। সেতু না থাকায় ব্যবসায়ীরা মালামাল নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহান। স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষার্থীরা পড়ে ভোগান্তিতে। শিক্ষার্থীরা মাঝেমধ্যে বই-কলম হারিয়ে ফেলে নদে। কৃষক ফসল নিয়ে উপজেলা সদরে যেতে না পারায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পথচারী মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘জন্ম থেকে দেখে আসছি ধুম নদে সেতু নেই। কলার ভেলায় মানুষ পারাপার হয়। বাঁশের সাঁকো দেওয়া হলেও বর্ষায় ভেঙে ভেসে যায়। আমাদের উপজেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র ভরসা এ বাঁশের সাঁকো। নদের ওপর সেতু হলেই এলাকাটি পরিবর্তন হয়ে যাবে।’ শিক্ষার্থী সুজন মিয়া বলেন, ‘আমরা কলার ভেলায় চড়ে বিদ্যালয়ে যাই। ভেলা একটু হেলে দোল খেলেই নদে কলম-খাতা-বই পড়ে যায়, কখনো কখনো আমরাও ভেলা থেকে পিছলে পড়ে গিয়ে ভিজে যাই।’ গোলমুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকার মানুষ বাঁশের সাঁকো তৈরি করছেন। কিন্তু প্রয়োজন ধুম নদের ওপর সেতু।’